সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে সাবমেরিন। সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য ভারতের ক্রয়তালিকায় রয়েছে সবই। কিন্তু গলদ রয়েছে গোড়াতেই। পারমাণবিক বোমা, ব্যালিস্টিক মিসাইলের হিড়িকে চাপা পড়ে গিয়েছে সেনার পদাতিক বাহিনীর প্রাথমিক প্রয়োজনটুকু। সম্প্রতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজও মান্ধাতা আমলের রাইফেল নিয়ে লড়াই করত হচ্ছে সেনা-জওয়ানদের। লালফিতের জটে আটকে রয়েছে অত্যাধুনিক রাইফেল কেনার প্রক্রিয়া।
যে কোনও সেনার মেরুদণ্ড হচ্ছে পদাতিক বাহিনী। শত্রু পক্ষের হামলা রুখে দেওয়ার পাশাপাশি পালটা হামলা চালাতে ‘ফ্রন্টলাইনে’ থাকে স্থলসেনাই। কিন্তু চিন্তার বিষয় সেই পদাতিক বাহিনীর হাতেই নেই অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, কারবাইন ও লাইট মেশিনগানের মতো ‘স্মল আর্মস’ বা হালকা আগ্নেয়াস্ত্র। ফলে ‘ক্লোজ কমব্যাট’ বা মুখোমুখি লড়াইয়ে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে জওয়ানদের। এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনীও। গত সপ্তাহে সেনার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সেখানে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
[সোমালিয়ার ইতিহাসে নৃশংসতম জঙ্গি হামলায় মৃত অন্তত ২৭৬]
জানা গিয়েছে, আর্টিলারি কামান, হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স মিসাইল কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার ব্যপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেনা সূত্রে খবর, প্রায় ১২ লক্ষ সেনার জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন প্রায় ৮ লক্ষ ১৮ হাজার বিশ্বমানের অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, ৪ লক্ষ ১৮ হাজার কারবাইন, ৪৩ হাজার লাইট মেশিনগান ও ৫ হাজার স্নাইপার রাইফেল। এছাড়াও নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার জন্য প্রয়োজন রয়েছে হালকা আগ্নেয়াস্ত্রর।
চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতিতে স্থলসেনার অস্ত্রের অভাব চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রতিরক্ষা মহলে। বেশ কয়েকবার সেনার ‘ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন’-এর জন্য অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তবে দুর্নীতি থেকে শুরু করে লালফিতের জটে পড়ে আজও তা আলোর মুখ দেখেনি। এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনা ব্যবহার করছে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘ইনসাস রাইফেল’। তবে এই রাইফেলের গুণগত মান নিয়ে সেনার অন্দরেই প্রশ্ন রয়েছে। ২০১৬ সালে বিদেশি অস্ত্রনির্মাণকারী সংস্থাগুলির কাছে রাইফেল সরবরাহ করার টেন্ডার চায় সেনা। তবে মাঝপথেই থমকে যায় সেই প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বাধলে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে থাকবে সেনা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
[ডোকলামে ‘ড্রাগনের’ পদধ্বনি, আলোচনায় উদ্বিগ্ন থিম্পু ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.