সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণা ঘাঁটিতে পাক বর্বরতার যোগ্য জবাব দিল ভারত। সেই ভাষাতেই দিল, যে ভাষা বোঝে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাক বাঙ্কার ও পোস্ট গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।
একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের ভিডিওটি প্রকাশ করেছে। ভিডিও-য় দুই সেনা জওয়ানকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “পাকিস্তানের বাঙ্কার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।” সূত্রের খবর, শিখ রেজিমেন্ট এই অভিযানের দায়িত্বে ছিল। দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করে নিরাপদে জওয়ানরা ফিরে এসেছেন নিজেদের ঘাঁটিতে।
[রাজনাথের বৈঠকের আগেই কলকাতা থেকে সরল CRPF-এর সদর দপ্তর]
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাক জঙ্গি অনুপ্রবেশে অশান্ত হয়ে পড়ে জম্মু ও কাশ্মীর। সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার গুলি বর্ষণ করতে থাকে পাক সেনা। এরপর পাশাপাশি নিত্যদিন জঙ্গি হানার ঘটনা তো ছিলই। এরপর এই প্রথম পাল্টা প্রত্যাঘাত করল ভারত। কৃষ্ণা ঘাঁটিতে দুই জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদ করে পাক বর্ডার অ্যাকশন ফোর্স। ওই মধ্যযুগীয় হামলার তীব্র নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলিও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, সেনাবাহিনীর উপর বিশ্বাস রাখতে। পাকিস্তানের বর্বরোচিত হামলার জবাব ঠিকই দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, কৃষ্ণা ঘাঁটিতেই পাক সেনা ও জঙ্গিদের যৌথ হামলার পাল্টা জবাব দিতে সেনাকে ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ দেন অরুণ জেটলি।
কেন্দ্রের অনুমতিরই অপেক্ষা যেন ছিল সশস্ত্র বাহিনী। কেন্দ্র সবুজ সঙ্কেত দিতেই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে পাক বাঙ্কার ও পোস্ট গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক সেনার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের যোগ্য জবাব দিল ভারত। এই অভিযান সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতোই কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন প্রাক্তন সেনা কর্তারা। পাকিস্তানকে নিজেদের যোগ্যতা বুঝিয়েও দেওয়া গিয়েছে এই অভিযানে, মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় সেনার কৃষ্ণ ঘাঁটি সেক্টরকে লক্ষ্য করে ভারী মর্টার বর্ষণ করতে থাকে পাক বাহিনী। এরপর দুই ভারতীয় জওয়ানকে হত্যা করে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, সম্ভবত কোনও ফাঁদ পাতা হয়েছিল। যা খতিয়ে দেখতেই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন দুই জওয়ান। তখনই তাঁদের হত্যা করা হয়। সীমান্ত পার করে প্রায় ২৫০ মিটার ভিতরে পাক বাহিনী প্রবেশ করেছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
হামলায় শহিদ হন বিএসএফ-এর ২০০ ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর ও সেনার ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিৎ সিং। এই হামলার পিছনে লস্করের হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। ভারতের তরফে এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করা হয়। পাশাপাশি এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেয়েই বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ঠিক যে অঞ্চল থেকে ভারতীয় বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল, সেই অঞ্চলেই পাল্টা আক্রমণ করা হয়। তবে কতজন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে ওই অভিযানে, সেটা এখনও জানা যায়নি।
দেখুন ভিডিও:
A Sikh Regiment unit completely annihilates a Pak bunker on LoC. #IndianArmy responds to Pak in the language they understand. #HammerPakArmy pic.twitter.com/YaoOVHE5VO
— Major Gaurav Arya (@majorgauravarya) May 8, 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.