সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৭২ সালে সীমান্তরেখার কাছে প্রাণ হারিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) এক সেনা অফিসার। তাঁর শবদেহ কবর দেওয়া হয়েছিল ভারতেই। সময়ের দীর্ঘ ক্ষতের ধাক্কায় সেই সমাধিস্থল হয়ে গিয়েছিল জীর্ণ। নতুন করে সেই কবর পুনর্নির্মাণ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বৃহস্পতিবার একটি টুইটে একথা জানিয়েছে চিনার কর্পস। সেনা জানিয়েছে, ওই শবদেহটি পাকিস্তানের সেনা মেজর মহম্মদ শাবির খানের। প্রায় চার দশক আগে সীমান্তরেখার কাছে ভারতীয় সেনার হাতে নিহত হন তিনি।
শ্রীনগরে অবস্থিত চিনার কর্পস ওই কবরের একটি ছবিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কবরের এপিটাফে লেখা রয়েছে, ১৯৭২ সালের ৫ মে বিকেল সাড়ে চারটের সময় ‘সিতারা-এ-জুররত’ পদাধিকীরা ওই সেনা অফিসার মারা যান।
In keeping with the traditions & ethos of the #IndianArmy, #ChinarCorps resuscitated a damaged grave of Major Mohd Shabir Khan, Sitara-e-Jurrat, Pakistan Army, who was Killed in Action (KIA) at a forward location along LC in Naugam Sector on 05 May 1972.#Kashmir@adgpi pic.twitter.com/EjbFQSn9Iq
— Chinar Corps🍁 – Indian Army (@ChinarcorpsIA) October 15, 2020
চিনার কর্পস তাদের করা টুইটে লেখে, ‘‘ভারতীয় সেনার ঐতিহ্য ও নীতি অনুসরণ করে চিনার কর্পস পাকিস্তান সেনার সিতারা-এ-জুররত মেজর মহম্মদ শাবির খানের কবরটি পুনরুদ্ধার করেছে। ১৯৭২ সালের ৫ মে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন তিনি প্রাণ হারান।’’
আর একটি টুইটে তারা লেখে, ‘‘একজন মৃত সৈনিক, তিনি যে দেশেরই হোন না কেন, মৃত্যুর ক্ষেত্রে সম্মানের দাবি রাখেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী এটা বিশ্বাস করে। সারা বিশ্বের কাছে এটাই ভারতীয় সেনার স্বরূপ।’’
ভারতীয় সেনার এমন রূপ আগেও দেখা গিয়েছে। মাসখানেক আগেই ১৭ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে উত্তর সিকিমে ভারত-চিন সংঘর্ষের সময় পথ হারিয়ে ফেলা তিনজন চিনা নাগরিককে উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনা। ওই চিনা নাগরিকরা পথ হারিয়ে ভারতের দিকে চলে এসেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে সেনাই তীব্র শীতের কামড়ে দীর্ঘক্ষণ জল ও খাদ্যের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই চিনা নাগরিকদের সুস্থ করে তোলে। তাঁদের গরম কাপড়, খবর, ওষুধ ও অক্সিজেন সিলিন্ডার ও দেওয়া হয়। সুস্থ হয়ে ওঠার পরে তাঁদের সঠিক পথও বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.