ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অনুপ্রবেশে উত্তপ্ত কাশ্মীরের ভারত-পাক সীমান্ত। সশস্ত্র পাক সেনার আচমকা আক্রমণে শহিদ তিন ভারতীয় জওয়ান। গুরুতর আহত আরও এক জওয়ান। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। রবিবার দুপুরে কাঁটাতার পেরিয়ে সীমান্ত লাগোয়া কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দরবনি সেক্টরে অনুপ্রবেশ করে পাক সেনার একটি দল । প্রায় ৫০ মিটার ভিতরে এসে সীমান্তে টহলদার বাহিনীকে লক্ষ্য করে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে তারা। সশস্ত্র পাক-সেনার আক্রমণে প্রথমটায় হকচকিয়ে যান টহলরত ভারতীয় জওয়ানরা । তবে পালটা আঘাত হানতে কসুর করেননি। ভারতীয় সেনার গুলিতে দুই অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা পলাতক।
রবিবার কুলগামে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় হয়। ঘটনায় তিনজন জঙ্গিকে খতম করেছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। এই ঘটনার জেরে দিনভর উত্তপ্ত ছিল উপত্যকা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিরাপত্তাবাহিনীর টহলদারিও বাড়ানো হয়েছিল। এদিকে জঙ্গিরা খতম হতেই রোখ চেপে যায় পাক সেনাবাহিনীরও । বেলার দিকে একদল পাক-সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করে। রাজৌরির সুন্দরবনি সেক্টরের কাছে তখন ভারতীয় সেনার টহলদার বাহিনী যাচ্ছিল। রীতিমতো ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য ৫০ মিটার চলে এসে ওই টহলদার বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে অনুপ্রবেশকারী দলটি। ঘটনাস্থলে তিন সেনা জওয়ান শহিদ হন। অনুপ্রবেশকারীর গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক জওয়ান। তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শহিদ জওয়ানরা হন হাবিলদার কৌশল কুমার, ল্যান্সনায়েক রণজিৎ সিং ও রাইফেলম্যান রজতকুমার বাসান। অন্যদিকে সেনার পালটা আঘাতে দুই অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে নিয়্ন্ত্রণরেখা বরাবর জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া আরএস পুরা এলাকার রামগড় সেক্টর থেকে এক বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। শহিদ জওয়ানের নাম নরেন্দ্র সিং। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা লম্বা লম্বা ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান। সেই সময়ই পাক সেনার তরফে আচমকাই গুলি ছুটে আসে। পাক-সেনার বুলেটেই শহিদ হন নরেন্দ্র সিং। দেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় ওই বিএসএফ জওয়ানের গলার নলি কাটা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর জওয়ানের গলার নলি কাটার ঘটনায় উপত্যকা জুড়ে বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। এই ঘটনায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি পাকিস্তানকে সরাসরি সতর্ক করেছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাক-সেনার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটানোর জন্য বিএসএফ-কে অনুমতি দেওয়া হল। এরপর থেকে সীমান্তে পাক সেনার বিরুদ্ধে যা খুশি তাই করতে পারবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তারপর থেকেই ফের জঙ্গি ও সেনা অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়ে চলেছে। রবিবারই কুলগাম ও রাজৌরিতে পর পর দুটি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.