সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব শীঘ্রই নতুন উর্দিতে দেখা যেতে পারে ভারতীয় সেনাকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বদলে যেতে পারে ভারতীয় সেনার উর্দি। সেনাদের এখন যে উর্দিটি রয়েছে সেটির মূল উপাদান টেরিকট ফাইবার। কিন্তু গরম ও আর্দ্রতার জন্য জন্য পোশাকের এই উপকরণ আরামদায়ক নয়। তাই উর্দিতে বদল আনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর আগে সেনার জন্য সুতির উর্দি আনা হয়েছিল। কিন্তু জওয়ানরাই জানিয়েছিলেন, সুতির উর্দি রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ নয়। তাই টেরিকট ফাইবারের উর্দি আনা হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে টেরিকট ভারতীয় আবহাওয়ার জন্য যথাযথ নয়। এবার ফের সুতির উর্দি ফিরিয়ে আনা হবে কিনা, তা অবশ্য আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
উর্দির বদল আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে তৈরি হবে। নতুন এই উর্দিতে সার্ভিস স্ট্রিপ কোথায় কীভাবে বসানো হবে, চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে তাও। বর্তমানে এই স্ট্রিপগুলি জওয়ানদের কাঁধে বসানো হয়। কিন্তু উর্দি বদলাতে এগুলি সরে যেতে পারে। বদলে সামনে, বোতামের জয়গায় বসতে পারে সার্ভিস স্ট্রিপ। এছাড়া উর্দির বাইরে যে বেল্টটি পরা হয় সেটি ভিতরের দিকে পরার বন্দোবস্ত করা হতে পারে। জওয়ানদের অস্বস্তি কাটাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। উর্দির শার্ট ও ট্রাউজারের রং বদলানোর সম্ভাবনাও প্রচুর।
[ আরও পড়ুন: মোদির বৈবাহিক জীবন নিয়ে মন্তব্য, ফের বিতর্কে মায়াবতী ]
সূত্রের খবর, উর্দির এই বদলের জন্য গোটা বিশ্বের সমস্ত দেশের সেনাদের উর্দি নিয়ে চর্চা চলছে। শুধু উপস্থাপনার দিক থেকে নয়, সেই উর্দিগুলির উপযোগিতা ও বাস্তবতার দিকেও নজর দিচ্ছে মন্ত্রক। তবে প্রতিটি দেশের সেনার উর্দি খুঁটিয়ে দেখে তবেই ভারতীয় সেনার উর্দি বদলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে তিনবার ভারতীয় সেনার উর্দি বদলানো হয়েছে। প্রথমবার বদল আনা হয় স্বাধীনতার পর। ভরতীয় সেনার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার পার্থক্য বোঝানোর জন্য এই বদল আনা হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনা খাদি উর্দি ব্যবহার করে। তাই বদলানো হয় ভারতীয় সেনার উর্দি। দ্বিতীয়বার এটি পালটানো হয় ১৯৮০ সালে। একে বলা হয় ‘ডিসরাপটিভ প্যাটার্ন বেল্ট ড্রেস’। এটি বানানো হয়েছিল পলিস্টার ফ্যাব্রিক দিয়ে। এটিও গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই ছিল না। এরপর ২০০৫ সালে এই ‘ডিসরাপটিভ প্যাটার্ন বেল্ট ড্রেস’-এর মধ্যেই অল্পবিস্তর বদল করা হয়। বিএসএফ ও সিআরপিএফের উর্দির সঙ্গে পার্থক্য বোঝাতে এই বদল আনা হয়।
[ আরও পড়ুন: একের পর সভা করে মোদিকে তোপ, কণ্ঠ হারাতে পারেন সিধু ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.