সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে (Ladakh) ভারত-চিন সীমান্তে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। বেশ কিছুদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে চলছে টানাপড়েন। সম্প্রতি কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, লাদাখের প্যাঙ্গং লেকের কাছে টহল দেওয়ার সময় ভারত ও চিনের নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি হয়। এবং ভারতীয় জওয়ানদের অল্প সময়ের জন্য হলেও আটক করে চিনা আর্মি (PLA)। পরে উচ্চস্তরের আলোচনার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও ভারতীয় সেনার (Indian Army) একটি সুত্র এই খবর অস্বীকার করেছে। সেনার দাবি, ‘এই খবর সত্যি নয়।’
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে লাদাখে প্যাঙ্গং লেকের কাছে ভারতীয় সেনা এবং আইটিবিপি জওয়ানদের টহলদারির সময় ঘটনাটি ঘটে। কয়েকজন ভারতীয় জওয়ানকে আটক করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, গত কয়েকবছরে প্যাঙ্গং সীমান্তে এই উত্তেজনার পরিবেশ বজায় আছে। গত কয়েকমাসে তা বেড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে সেনা-জওয়ানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। এর মধ্যে একবার চিনা বায়ুসেনা ভারতের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করে। দ্রুত ছুটে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকটি বিমানও। এসব নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। সেনার তরফে সরকারকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি মাঝেমাঝেই টিহলদারির নামে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়ছে চিনা সেনা। প্যাঙ্গং এবং গালওয়ান দুই এলাকাতেই আগ্রাসন দেখাচ্ছে চিন। অথচ, এই দুটি এলাকা যে ভারতেরই অংশ, তা মেনে নেয় চিনও। যদিও, সেনা জওয়ানদের আটক করার এই খবর অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনা।
তবে সূত্রের খবর, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই ১৭০ বার ভারতীয ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে চিনা সেনা। এর মধ্যে ১৩০ বারই লাদাখ দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে চলে এসেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। বেশ কয়েকবার যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে একপ্রকার নীরবে লাদাখে পৌঁছেছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.