সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা সেনা তথা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) হাত থেকে পূর্ব লাদাখের গুরুত্বপূর্ণ ছ’সাতটি পয়েন্ট ছিনিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মে মাসে অনুমতি চেয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনা কর্তাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরেই দ্রুত অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। গোটা প্রক্রিয়া হয়েছিল অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে। দু’টি সর্বভারতীয় ইংরেজি কাগজের ওয়েবসাইটে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়েবসাইট ও সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২৯-৩০ আগস্ট ভারতীয় সেনার বিশেষ বাহিনী স্পেশ্যাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (এসএফএফ) গভীর রাতে গেরিলা হামলা চালিয়ে চিনা সেনাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় দক্ষিণ প্যাংগং হ্রদের (Pangong Tso) ধারে সাতটি পাহাড় চূড়া। কৌশলগত দিক থেকে ওই পয়েন্টগুলির গুরুত্ব অসীম। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ভারতীয় সেনার চকিত হামলায় পিছু হটে লালফৌজ। চিনা সেনাদের পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে শহিদ হন এক এসএফএফ জওয়ান। নিহত হয় দুই চিনা সেনা।
এই ঘটনার পর ভারতের কাছে দফায় দফায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় চিনা (China) বিদেশমন্ত্রক। ভেস্তে যায় দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠকও। কিন্তু ওই অভিযানে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিনের কাছে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ছ’সাতটি পাহাড় চূড়া ফের দখল করে ভারতীয় ফৌজ। এই পাহাড়চূড়ার মধ্যে আছে মুখপরি হাইটস্, রেজাং লা, রেচিন লা, গুরুং হিল, ব্ল্যাক টপ, মাগর হিল। ওই সব পাহাড় চূড়ার উপরে থাকা চিনা পতাকা খুলে ফেলে দেন জওয়ানরা। চিনা সেনার ওয়াচ টাওয়ার, রেডিও টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়।
চিন হুঁশিয়ারি দেয়, ভারতীয় সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) পেরিয়ে চিনের মাটিতে আগ্রাসন চালিয়েছে। এর ফল ভাল হবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়েছেন, উপযুক্ত মুহূর্তের অপেক্ষা করছিল এসএফএফ বাহিনী। এই সেনা অভিযানের সবুজ সংকেত মে মাসেই দিয়েছিল সরকার। জানতেন শুধু কয়েকজন। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছিল সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.