ঘটনাস্থলের ছবি
মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: সারা বিশ্ব যখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তখন পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরে ক্রমাগত নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। শনিবার রাতে তাদের নাশকতার ছক বানচাল করতে গিয়ে প্রবল গুলিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। এর ফলে শহিদ হলেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক কর্নেল, একজন মেজর এবং দুই জওয়ান আর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক সাব ইনস্পেক্টর। পালটা গুলিতে খতম হয়েছে দুই জঙ্গিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে খবর আসে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দেওয়ারার চানাজমুলা গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে দু’জন জঙ্গি। বাড়ির সদস্যদের পণবন্দি করে রেখেছে তারা। এরপরই ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে। দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ পণবন্দি নাগরিকদের উদ্ধার করতে ওই বাড়ির মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
সেসময়ই আচমকা ভিতর থেকে গুলি চালাতে আরম্ভ করে জঙ্গিরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে উভয়পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর রাতে বন্ধ থাকে। তবে রবিবার ভোর হতেই ফের শুরু হয়ে এনকাউন্টার। এর জেরে শহিদ হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, ল্যান্সনায়েক দীনেশ, রাইফেলম্যান রাজেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এসআই (SI) শাকিল কাজী। নিরাপত্তারক্ষীদের পালটা গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গিও। এরপরই ওই বাড়িতে থেকে পণবন্দি বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়।
রবিবার সকালে এপ্রসঙ্গে ভারতীয় সেনার এক মুখপাত্র জানান, ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার আশুতোষ শর্মা খুবই দক্ষ অফিসার ছিলেন। অতীতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা হওয়া অনেক জঙ্গিদমন অভিযানে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। গতকাল রাতে চাঙ্গিমুল্লা গ্রামের একটি বাড়ির বাসিন্দাদের পণবন্দি করে রাখা হয়েছে শুনে ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। আর সেসময়ই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে একজন মেজর, দুই জওয়ান ও এক পুলিশকর্মীর পাশাপাশি শহিদ হন ওই দক্ষ সেনা আধিকারিকও।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.