সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনাকে রাজনীতিতে না জড়ানোয় ভালো। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করে দিলেন খোদ দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলছেন, “রাজনৈতিক বিষয়ে বা মন্তব্য নিয়ে যা বলার সেটা রক্ষামন্ত্রী বলবেন। কিন্তু আমার মনে হয় সেনাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত।”
রাহুল গান্ধী বরাবর নরেন্দ্র মোদির ‘চিন নীতি’র সমালোচক। রাহুলের দাবি, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পরিকাঠামো তৈরি করছে। অথচ নয়াদিল্লি নীরব। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী চিনকে ভয় পান। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়েই দিন কয়েক আগে বিরোধী দলনেতা বলেন, “খোদ সেনাপ্রধানও মেনে নিয়েছেন চিন ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়েছে। এবং ভারতীয় এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি করছে।”
রাহুলের দাবি ছিল, খোদ সেনা প্রধানই ভারত সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। বুধবার সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী রাহুলের সেই মন্তব্য খণ্ডন করে নিজের পুরনো মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন। তিনি বললেন, “এ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে যা যা বলার খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীই সেটা বলেছেন। সোশাল মিডিয়া পোস্টে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু আমার মনে হয় সেনাকে এভাবে রাজনীতিতে টানা উচিত নয়।”
কিন্তু রাহুল সেনাপ্রধানের ঠিক কোন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ওই দাবি করেছিলেন? সেনাপ্রধান বলছেন, আমার মন্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে। সেটা ভারত থেকেই করা হোক বা চিন থেকে। আমি শুধু বলেছি, “ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও বিতর্কিত এলাকায় প্রবেশ করেনি, বরং আরও স্বচ্ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে রয়েছে।” সেনাপ্রধানের ব্যাখ্যা, “২০০১ বা ২০০৭ সালে আইটিবিপি চিন সীমান্তের দায়িত্বে ছিল, তখন সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ছিল সামান্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও এগিয়েছি, একইভাবে চিনও এগিয়েছে। এখন বেশি সংখ্যক বাহিনীর জন্য বেশি পরিকাঠামোর প্রয়োজন।” সেই মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.