Advertisement
Advertisement
ভারতীয় সেনা

হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁদ পেতেছে ISI, আধিকারিকদের সতর্ক করল সেনা

বন্ধুর ছদ্মবেশে সেনার অফিসারদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা৷

Indian Army asks personnel to be extra careful on WhatsApp
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 9, 2019 11:52 am
  • Updated:July 9, 2019 11:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনা সম্পর্কিত গোপন তথ্য জানতে মরিয়া পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ এবার তাদের টার্গেটে ভারতীয় সেনার আধিকারিক ও তাঁদের পরিবার৷ বন্ধুর ছদ্মবেশে এবার সেনার অফিসার, তাঁদের নিকট আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে আইএসআই৷ সেক্ষেত্রে তারা হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড বা সোশ্যাল মিডিয়াকে৷ বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপকে৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উক্ত মেসেজিং অ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই সেনা আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে৷ স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে যেন বেশি কথাবার্তা না বলেন সেনা আধিকারিকরা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা৷ কোনও তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও যেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার না  করা হয়৷

[ আরও পড়ুন: ব্রহ্মসের আওতায় ইসলামাবাদ, ভারতীয় ক্রুজ মিসাইলের আতঙ্কে পাকিস্তান ]

Advertisement

গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনা জানিয়েছে, বন্ধুত্বের টোপ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সেনা আধিকারিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে আইএসআই এজেন্টরা৷ সরাসরি বন্ধুত্ব পাতানোর পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওই সেনা আধিকারিক বা তাঁর ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থার সদস্যরা৷ তাঁদের উদ্দেশ্য, যেকোনও ভাবে ভারতীয় সেনা সম্পর্কীত গোপন তথ্য ফাঁস করা৷ বিশেষ করে সেনা ঘাঁটিগুলি সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করা৷ এবং সেই তথ্য পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে তুলে দেওয়া৷ যাতে তাকে কাজে লাগিয়ে পাঠানকোট, উরির মতো নাশকতামূল ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে পারে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি৷

[ আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তোপ ভারতের ]

জানা গিয়েছে, সেনার ডিজিএমও-র তরফে ইতিমধ্যে আধিকারিকদের মধ্যে এই সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ যেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, তাঁরা যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ম্যাপ, সেনার ব্যবহার্য কোনও অস্ত্রের ছবি বা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেন৷ ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো সোশ্যাল মিড়িয়ার মাধ্যমে কোনও গোপন তথ্য চালাচালি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে৷ কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই নির্দেশ অমান্য করার প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাঁর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এছাড়া সেনা অফিসারদের পরিবারের সদস্যদেরও এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, প্রচুর সদস্য রয়েছে এমন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ এড়িয়ে চলতে৷ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে বেশি খোলামেলা কথাবার্তা না বলতে৷

[ আরও পড়ুন: কর্ণাটকের অস্থিরতার জন্য দায়ী রাহুল, অভিযোগ উড়িয়ে দাবি রাজনাথের ]

প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হানিট্র্যাপে’র মাধ্যমে সেনাকে টার্গেট করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ গত জুন মাসেই এমন একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান ভারতীয় গোয়েন্দারা৷ যে অ্যাকাউন্টের সাহায্যে এমন এক মহিলার সন্ধান মেলে, যে একাধিক সেনা আধিকারিক ও স্পেশ্যাল ফোর্সের জওয়ানদের টার্গেট করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর৷ এমনকী, এই বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বনে গত জানুয়ারি মাসে সেনার আধিকারিক ও জওয়ানদের মোবাইল, ল্যাপটপ ও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছানবিন করা হয়৷ তাঁরা কাদের সঙ্গে, কী ধরনের বার্তালাপ করছে, কী তথ্য আদান-প্রদান করছে তাও খতিয়ে দেখা হয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement