সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ানের (Galwan Valley) স্মৃতি উসকে দিয়ে ফের সীমান্তে ভারতীয় সেনার উপরে হামলা চালিয়েছে লালফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতের সীমানার কাছে চিনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। তাই পালটা প্রত্যাঘাতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে চাইছে ভারত। অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) সংলগ্ন এলাকায় মহড়া চালাচ্ছে বায়ুসেনা। শক্তিশালী ফাইটার জেট পাঠানো হয়েছে অরুণাচল সীমান্তে।
৯ ডিসেম্বর সেনা সরানোর প্রক্রিয়া চলাকালীন ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় লালফৌজ।তাওয়াংয়ের (Tawang) এই ঘটনায় জখম হন অন্তত ২০-৩০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনার দাবি, ভারতের তুলনায় লালফৌজের বেশি সংখ্যক জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে দু’তরফের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উত্তেজনা প্রশমনে দুই বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও খবর।
কিন্তু এই ঘটনার আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বায়ুসেনার সক্রিয়তা বাড়িয়েছিল চিন। ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেখা যাচ্ছে, ভারতের সীমান্তে বেশি সংখ্যক চিনের যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছিল। ভারতের দিকে আঘাত হানতে পারে তারা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। পালটা আঘাত হানতে বারবার সীমান্তে বিমান বাহিনীর কাজের ধরনে পরিবর্তন করা হচ্ছে, যেন চিনা বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করা যায়। রাফাল, সুখোইয়ের মতো শক্তিশালী প্রাইভেট জেট মোতায়েন করা হয়েছে অরুণাচল সীমান্তে। তবে সরকারি ভাবে এই প্রসঙ্গে বায়ুসেনার তরফে কিছু জানানো হয়নি।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের হামলার খবর পেয়েই সেনার তিন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই হামলার পালটা কড়া জবাব কীভাবে দিতে হবে, সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিলেন রাজনাথ। এরপরে সংসদে বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, হামলা হলেও সেরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ভারতীয় জওয়ানদের। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যসভায় সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছে তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.