ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ হাজার। লকডাউন না হলে সেই সংখ্যা এখন অন্তত ১০ লক্ষ হত। লকডাউনের ফলে ভারত যে ভাইরাসকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, সে কথাই জানিয়ে দিলেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত।
করোনা ভাইরাস (COVID-19) রুখতে কোনও ব্যবস্থা না নিলে এতদিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত পরিস্থিতি। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে যেত ৮ লক্ষ কুড়ি হাজার। শুধুমাত্র কার্যকরী পদক্ষেপই নয়, এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে এসেছে দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডাউনও। সময়মতো লকডাউন জারি না হলে এতদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে যেত। সম্প্রতি পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health ministry)। এবার নতুন পরিসংখ্যান দিল নীতি আয়োগ। COVID-19 এমপাওয়ারমেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভিকে পল শুক্রবার জানিয়েছিলেন, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় আগের অনেকটাই বেড়েছে। এদিন সেই সূত্র ধরেই অমিতাভ কান্ড জানান, লকডাউন শুরুর আগে ১৮ থেকে ২৫ মার্চ যে সংখ্যা তিনদিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল, তা ২২ এপ্রিল ১২.৫৩ দিনে হচ্ছে। এই ছবিটাই স্পষ্ট করে দেয় যে দেশজুড়ে লকডাউন না জারি হলে অথবা মানুষ নির্দেশ অমান্য করলে ছবিটা অত্যন্ত ভয়ংকর হত। ২২ এপ্রিল সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াত ১০ লক্ষ ২২ হাজারে। বৃদ্ধির হার ৪৪ গুণ বেশি হত।
Pandemics such as COVID require tough and timely decisions from governments. India’s timely decisions have improved the doubling rate from 3 to 12.53! If we had not acted on time, we would have had over 10 lakh +ve cases today. Almost 44 times higher than our current no of cases! pic.twitter.com/b8Tl8dPxVY
— Amitabh Kant (@amitabhk87) April 25, 2020
নীতি আয়োগের সিইও বলেন, “কোভিডের মতো মহামারির ক্ষেত্রে সরকারের সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্তটা নেওয়া জরুরি। ভারত সেটা করতে পেরেছে বলেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার পরিমাণটা ৩ থেকে ১২.৫৩ দিনে নামিয়ে আনা গিয়েছে। যদি সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়া হত এতদিনে করোনার কবলে পড়তেন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।”
এদিকে, শনিবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কথায় আশার আলো দেখছে ভারত। গতকাল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৬ শতাংশ বেড়েছে। যা নিঃসন্দেহে সন্তোষজনক। আবার গত এক সপ্তাহে সুস্থ হওয়ার হারও আগের তুলনায় বেশি। যে কারণে খানিকটা শিথিল হয়েছে লকডাউনে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন রাজ্যের গ্রিন জোনে খুলছে দোকানপাট। লকডাউনে কমছে আক্রান্তের হার। ঘুরে দাঁড়াবে ভারত। আশা দেশবাসীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.