সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়ন্ত্রণ রেখা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রত্যেকদিন অশান্তি বাড়াচ্ছে পাকিস্তান ও চিন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের মধ্যে ঘরোয়া বৈঠকের পরে কিছুটা সম্পর্কের বরফ গলেছে নয়াদিল্লি-বেজিংয়ের। তবে নিজেদের চরিত্র বদলাতে নারাজ পাকিস্তান। এমত অবস্থায় ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনায় রোবটিক অস্ত্র বা মানববিহীন অস্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে তৎপর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
[ট্রায়ালের মুখে দেশের প্রথম আর্টিলারি কামান ধনুশ]
কেবল ভারতই নয়, প্রযুক্তির অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে অস্ত্রাগারে রোবটিক অস্ত্র বা মানববিহীন অস্ত্র মজুত করতে শুরু করেছে বিশ্বের সমস্ত শক্তিধর রাষ্ট্র। সেই দৌঁড়ে পিছিয়ে থাকতে নারাজ ভারত। দেশের তথ্য-প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে স্থল-জল-বায়ু তিনধরনের সেনা বাহিনীতে রোবটিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বেশকিছু তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে নজর দেওয়া হচ্ছে তিনধনের সেনার জন্যই মানববিহীন ট্যাঙ্কার, জলযান ও ড্রোন বা বায়ুযান তৈরি করার। কাজ চলছে রোবটিক অস্ত্র নির্মাণেরও। ডিফেন্স প্রোডাকশন সচিব অজয় কুমার জানিয়েছেন, অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই ভারত। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিবছর বাড়ছে ভারতের বরাদ্দের পরিমাণ। এবার অস্ত্র নিমার্ণে সাহায্য নেওয়া হবে অনেকাংশে এগিয়ে থাকা ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির। ভবিষ্যতের জন্য নির্মিয়মাণ সাধারণ অস্ত্র, ভারী ও অতিভারী অস্ত্রের সঙ্গে কেমন ভাবে রোবটিক প্রযুক্তিকে যুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে একটি দল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ডিআরডিও-র সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে বেসরকারি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে।
[মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সেনার মোক্ষম অস্ত্র ৫৪৩ জন ‘বাস্তারিয়া’]
অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র বানানোর পাশাপাশি, বর্তমানে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির অন্যতম লক্ষ্য রোবটিক অস্ত্র বা মানববিহীন অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো। সেলক্ষ্যে অনেকদিন আগে থেকেই কাজ শুরু দিয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। প্রতিবছর রোবটিক অস্ত্র বা মানববিহীন অস্ত্র নির্মাণে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে চিন। এখানেই শেষ নয়, ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রোবটিক অস্ত্রনির্মাণকারী কারখানা বানানোর পরিকল্পনাও করেছে তারা। আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে লড়াইয়ের ময়দান হোক বা সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই, আনম্যানড ড্রোন বা চালকবিহীন ড্রোন ব্যবহারের সুবিধা ভোগ করেছে আমেরিকা। কমেছে মার্কিন সেনার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এই সমস্ত কিছু থেকে শিক্ষা নিয়েই রোবটিক অস্ত্র বা মানববিহীন অস্ত্রের দিকে ঝুঁকছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.