ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘Economics is not a cup of tea for BJP’। প্রায় তলানিতে এসে ঠেকা দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে এমনটাই মত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের। ২০১৯ সালে আর্থিক মন্দায় মার খেয়েছে ভারতের একাধিক শিল্প। যার প্রভাব পড়েছে দেশের জিডিপ বৃদ্ধির হারেও। বর্তমানে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশ। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, সরকার এতে জল মিশিয়েছে। আসলে সেটা ঠেকেছে ২.৫ শতাংশে। উনিশের ভুলভ্রান্তি শুধরে বিশে দেশের অর্থনীতির মেরামতি করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মোদি সরকারের কাছে। কিন্তু খারাপ খবর অপেক্ষা করে রয়েছে নয়া বছরে। বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্কের মতে, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নিয়ে যেতে হিমশিম খাবে কেন্দ্রীয় সরকার।
মার্কিন মুলুকের হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বিনিযোগের অভাবে ভুগবে ভারতের অর্থনীতি। জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নিয়ে যেতে নাভিশ্বাস উঠবে মোদি সরকারের। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জেরে দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। তার মধ্যে উনিশের কয়েক মাস আর্থিক মন্দার জেরবার দেশ। বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তৃতীয় ত্রৈমাসিক হিসাবে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। সবমিলিয়ে একাধিক ফলায় বিদ্ধ সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ ডিসেম্বর অ্যাসোচেমের একটি সভায় গিয়ে তিনি সমালোচকদের একহাত নিয়ে বলেছেন, শীঘ্রই দেশ মন্দা কাটিয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হয়ে উঠবে।
কিন্তু মোদির আশ্বাসে চিড়ে ভিজবে না, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের অভিমতকে মান্যতা দিয়েছেন স্টিভ হ্যাঙ্ক। এই অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় কী, তার কোনও দিশা নেই সরকারের কাছে। দুনিয়ার ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ইকোনমির এমন শনির দশায় চিন্তিত অর্থনীতি মহল। হ্যাঙ্কের মত, আর্থিক ক্ষেত্রে দৃঢ় পদক্ষেপের কোনও চেষ্টা করছে না মোদি সরকার। তার বদলে ধর্ম আর জাতপাতের রাজনীতি নিয়েই মেতে রয়েছে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.