সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাদিবসে সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেখানেই ফের একবার সন্ত্রাসবাদ তথা বিশ্বজুড়ে চলা অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, ড্রাগ বা নেশাজাত দ্রব্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। পরিস্কার জানিয়ে দিলেন, যারা মানবজাতির শত্রু, ভারত সবসময় তাদের বিপক্ষে। সন্ত্রাসবাদকে (Terrorism) কখনই সমর্থন করে না ভারত। অবৈধ অস্ত্রব্যবসা কিংবা ড্রাগপাচার অথবা অর্থতছরুপের ঘটনাগুলোকে কখনই সমর্থন করে না ভারত (India)।
আগামী বছরই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (Security Council) অস্থায়ী সদস্য হতে চলেছে ভারত। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘আগামী বছর জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হতে চলেছে ভারত। এই গুরুদায়িত্ব অবশ্যই পালন করা হবে। পাশাপাশি শান্তি, সুরক্ষা এবং সুরক্ষার পক্ষেই সওয়াল করবে ভারত।’’ এরপরই তিনি যোগ করেন, ‘‘যে সমস্ত কিছু মনুষ্যত্বের বিরুদ্ধে, সেই প্রত্যেকটি বিষয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে ভারত। তা সেটা সন্ত্রাসবাদ বা অবৈধ অস্ত্রপাচার, ড্রাগপাচার কিংবা অর্থ তছরুপ–যাই হোক না কেন।’’
Starting from January next year, India will also fulfil its responsibility as a non-permanent member of the Security Council. India will always speak in support of peace, security and prosperity: PM Modi at UNGA#ModiAtUN pic.twitter.com/Fex1p4w6f9
— ANI (@ANI) September 26, 2020
India will not hesitate in raising its voice against the enemies of humanity, human race and human values – these include terrorism, smuggling of illegal weapons, drugs and money-laundering: PM Modi at UNGA#ModiatUN https://t.co/WuibigkEeh
— ANI (@ANI) September 26, 2020
এর পাশাপাশি নিজের ভাষণে করোনা ভ্যাকসিন–সহ মহিলাদের উন্নয়নে ভারতের পদক্ষেপ, বিশ্ব শান্তি স্থাপনে ভারতের অবদানের কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থেকে ভারতকে আর কতদিন দূরে রাখা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “যখন রাষ্ট্রসংঘ (UN) গঠিত হয়েছিল, তখন পরিস্থিতি আলাদা ছিল। এখন একবিংশ শতকের প্রজন্মের চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা আলাদা রকম। নয়া প্রজন্মের সঙ্গে পরিবর্তন (Reform) আবশ্যিক”।
ভারতবাসী তথা সারা বিশ্ব এই সংস্কারের অপেক্ষা করছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের ভূমিকাও তুলে ধরেন। মোদি বলেন, “বিভিন্ন শান্তি মিশনে ভারত বরাবর নিজের দেশের বীর জওয়ানদের পাঠিয়েছে। দেশের বহু বীর জওয়ান সেখানে প্রাণ হারিয়েছে। আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে ভারত”। তারপরেও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকা থেকে এ দেশকে দূরে রাখা হচ্ছে বলে আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর। রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তাদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “আর কতদিন ভারতকে রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকা থেকে দূরে রাখা হবে?” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গোটা বিশ্বের ১৮ শতাংশ মানুষ এই গণতান্ত্রিক দেশে থাকেন। তাঁরা রাষ্ট্রসংঘের উপর বিশ্বাস করেন। তারাও রাষ্ট্রসংঘের সদার্থক পদক্ষেপের জন্য মুখিয়ে রয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.