সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে ১৯ বছর। ভারত আজও ভোলেনি সেই ‘কাপুরুষোচিত’ হামলাকে। ২০০১ সালে সংসদে (Parliament) হওয়া জঙ্গি হানার বর্ষপূর্তিতে টুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। সেই সঙ্গে সংসদকে রক্ষা করতে গিয়ে যে নিরাপত্তা কর্মীরা সেদিন শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের উদ্দেশেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
রবিবার সকালে করা টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘২০০১ সালে আজকের দিনে আমাদের সংসদে যে কাপুরুষোচিত হামলা হয়েছিল তা আমরা কোনওদিনও ভুলব না।’’ সংসদকে রক্ষা করতে গিয়ে যাঁরা নিজেদের প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা মনে করিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।’’
We will never forget the cowardly attack on our Parliament on this day in 2001. We recall the valour and sacrifice of those who lost their lives protecting our Parliament. India will always be thankful to them.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 13, 2020
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও (Om Birla) এদিন টুইট করে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সংসদকে ‘গণতন্ত্রের মন্দির’ বলে উল্লেখ করে শহিদদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, তাঁরা যে নিষ্ঠা ও সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন, তা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সংকল্পকে আরও মজবুত করে তুলেছিল।
वर्ष 2001 में आज ही के दिन लोकतंत्र के मंदिर संसद भवन की सुरक्षा करते हुए सर्वोच्च बलिदान देने वाले पुलिसकर्मियों व संसद के कर्मचारियों को विनम्र श्रद्धांजलि। आपकी निष्ठा, शौर्य और पराक्रम हमें आतंकवाद के विरुद्ध संघर्ष के हमारे संकल्प को और मजबूत करने की प्रेरणा देता रहेगा।
— Om Birla (@ombirlakota) December 13, 2020
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন সংসদ চত্বরে ঢুকে পড়েছিল লস্কর-ই-তইবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের পাঁচজন জঙ্গি। শুরুতে তারা একতরফা হামলা চালালেও দ্রুত উত্তর দেয় সিআরপিএফ ও দিল্লি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জঙ্গিই খতম হয়। তবে তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হন দিল্লি পুলিশের পাঁচ কর্মী ও সিআরপিএফের এক মহিলা কনস্টেবল। সেই সঙ্গে শহিদ হন সংসদের ওয়াচ ও ওয়ার্ড বিভাগের দুই নিরাপত্তা রক্ষী। এছাড়াও সংসদের এক বাগানকর্মী এবং চিত্র সাংবাদিকও মারা যান জঙ্গিদের গুলিতে।
ওই হামলার পরই নতুন করে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হয় ভারতের। ভারত অভিযোগ তোলে, এই পুরো হামলার পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদত। পাকিস্তান অবশ্য সেই অভিযোগ মানেনি। হামলার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আটক করা হয় আফজল গুরু, আফসান গুরু, শওকত হোসেন ও এসআর গিলানিকে। পরে ফাঁসি হয় আফজল গুরুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.