নয়াদিল্লি: আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে চিনা সীমান্ত (LAC) বরাবর এস-৪০০ স্কোয়াড্রন ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম বসাতে চলেছে ভারত। এই বিপুল ক্ষমতাশালী মিসাইল সিস্টেম লাদাখ এলাকায় ভারতীয় সেনাকে আলাদা মনোবল জোগাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ সীমান্তে (India China Border) মাঝেমধ্যেই নো-ফ্লাই জোনে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে, ড্রোন উড়িয়ে চিন যে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করে চলেছে, সেই ব্যাপারটা অনেকটা কেটে যাবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের (Russia-Ukraine War) পর থেকে রুশ অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু এই মিসাইল সিস্টেমটি কেনার ব্যাপারে ভারতকে আলাদা করে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন ক্যাটসা আইন (CAATSA) অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে ভারতকে।
শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান ও লম্বা পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’-এর বিকল্প নেই। ভারতীয় বায়ুসেনা এমন একটি সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাচ্ছে, যখন প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে গোলমাল চলছে। তা নিয়ে লাদাখ, অরুণাচলে এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। লাদাখ (Ladakh) ও অরুণাচলকে নিশানায় রেখে আগেভাগেই চিন অধিকৃত তিব্বতে দুটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে বেজিং।
এ বার ভারতের পালা। সর্বপ্রথম দেশের উত্তর ও পশ্চিম কোণে বসানো হবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা, যাতে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তের উপর তীক্ষ্ণ নজরদারি রাখা যায়। রাশিয়া থেকে পাঁচটি স্কোয়াড্রন ভারতে আসছে। খরচ পড়ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেও বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম এস- ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.