সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ, লাদাখে সীমান্ত সংঘাত এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তের মাঝেই বৈঠকে বসতে চলেছে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মঙ্গলবার, ৪ জুলাই এক মঞ্চে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
ওয়াগনার বিদ্রোহের পর এই প্রথম এসসিও সামিটের মতো কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, গত মাসের শেষে ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহে বিপাকে পড়েছিল পুতিন প্রশাসন। মূলত রাশিয়ার সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ‘পুতিনের রাঁধুনি’ ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল পুতিনেরও।
অন্যদিকে, এই সামিটে নতুন সদস্য দেশ হিসাবে ইরানকে স্বাগত জানাবে ভারত। শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের নতুন স্থায়ী সদস্য পদ পেয়েছে ইরান। এই অধিবেশনে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে তালিবানি শাসনে জর্জরিত আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি। আলোচনা করা হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও। উঠে আসতে পারে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও।
এছাড়া, গত তিন বছর ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। যে কোনও সময়ে সংঘাতে জড়াতে পারে দুই দেশ। কয়েকদিন আগেই চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে মঙ্গলবার মুখোমুখি হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং। দুই প্রধানের মধ্যে কী আলোচনা হবে তার দিকে নজর থাকবে সব মহলের।
এই অধিবেশনে মূলত পাঁচটি বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এগুলি হচ্ছে- স্টার্টআপ ও বিভিন্ন গবেষণার উন্নতি, প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে জোর দেওয়া, ডিজিটাল সম্প্রসারণ, যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন এবং বুদ্ধের নীতি আদর্শকে তুলে ধরা। সব মিলিয়ে এই এসসিও সামিট ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে শাংহাইতে এসসিও গঠন হয়। সদস্য- রাশিয়া, চিন, কাজাখস্তান ও কিরঘিজস্তান। ২০১৭ সালে জোটে যোগ দেয় ভারত ও পাকিস্তান। গতবছরের সেপ্টেম্বরে এক বছরের জন্য সমরকন্দ সামিটে সংগঠনটির চেয়ারম্যান পদে বসে ভারত। আগামিকাল এই সামিটের নেতৃত্ব দেবে ভারত।
৪ জুলাই হতে চলা এই এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের তেইশতম বৈঠকে ভারচুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। তাই অন্যান্য দেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.