সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে জোর ধাক্কা খেয়েছে লালফৌজ। তারপর থেকেই আকসাই চিন সীমান্তে যুদ্ধের জন্য তৈরি ভারতীয় ফৌজ। ফরওয়ার্ড বেসগুলি থেকে লাগাতার টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই, অ্যাপাচের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। পাশাপাশি, জলসীমা সুরক্ষিত রাখতে আসরে নেমেছে ভারতীয় নৌসেনাও। ফলে ভারতের এহেন লড়াকু মেজাজে এবার পিছু হটতে শুরু করেছে চিনা নৌবাহিনী।
মুম্বই, বিশাখাপত্তনম ও নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, লাদাখে চিনা আগ্রাসনের পর তৎপর হয়েছে ভারত। দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সমুদ্রে চিনের দাপাদাপি ঠেকাতে যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন ও রণতরী নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। চিনা নৌবহরকে ঠেকাতে কড়া নজরদারি চলছে মালাক্কা প্রণালী থেকে হর্ন অব আফ্রিকা পর্যন্ত। ২০১৮ থেকেই জলদস্যুদের উৎখাত করার অজুহাতে পাকিস্তানের গদর এবং লোহিত সাগরের মুখে অবস্থিত জিবউতি নৌঘাঁটি এলাকায় থেকে মালাক্কা প্রণালীতে চিনা যুদ্ধজাহাজ ঢুকে পড়ে। তারপর সেগুলি ভারত মহাসাগর এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘোরাবায়ু ঘুরি করতে থাকে।
লাদাখে আগ্রাসন চালালে ভারতের কাছ দি পালটা মার আশা করেনি চিন। কিন্তু নয়াদিল্লির লড়াকু মনোভাবে এবার চিনা সমীকরণ কিছুটা জটিল হয়ে উঠেছে। ফলে চাপের মুখে ভারতীয় নৌবাহিনী নজরদারি বাড়ানোয় চিনের তিনটি রণতরী এডেন উপসাগরে আশ্রয় নিয়েছে। এবং আরও তিনটি রণতরী মালাক্কা প্রণালীর মাধ্যমে নিজেদের ঘাঁটিতে চলে গিয়েছে। এমনকী, ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দিয়ে একটি চিনা যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করছিল, কিন্তু ভারতীয় বাহিনীর জন্য সেটিও নিজের ভূখণ্ডে চলে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বাহিনীর মোকাবিলায় ইতিমধ্যে মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান এবং পূর্ব আফ্রিকার বেশকিছু বন্দর ঋণের টোপ দিয়ে দখল করেছে চিন।
এদিকে, পূর্বে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপসমূহে ও পশ্চিমে লক্ষদ্বীপ-সহ প্রায় ১ হাজার ৬২টি দ্বীপে সামরিক পরিকাঠামো মজবুত করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ওই দ্বীপগুলিতে যুদ্ধবিমান নামার জন্য ‘advance landing ground’ তৈরি করা হবে। প্রচুর টাকা খরচ করে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী কেনার থেকে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে সামরিক ঘাঁটির জাল রচনায় জোর দিয়েছেন দেশের নীতিনির্ধারকর। এর ফলে ওই অঞ্চলে কিছুতেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না চিনা নৌবহর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.