সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লদাখ সীমান্তে সংঘাত এড়াতে বুধবার বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন। তবে তার আগে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে সীমান্তে উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমনের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর মোতায়েন করা ১০ হাজার সেনা ও ট্যাংক রেজিমেন্ট সরিয়ে নিতে হবে চিনকে৷
৬ জুন দু’দেশের মধ্যে হওয়ায় মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠকের পর গালওয়ান এলাকা, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫ ও হট স্প্রিং এলাকায় সংঘর্ষের কেন্দ্র থেকে আড়াই কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। ওই সব এলাকা থেকে ফৌজ সরিয়েছে ভারতও। ফলে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় না হেঁটে কূটনৈতিক তথা সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে নয়াদিল্লি ও বেজিং। কিন্তু আলোচনার কথা বললেও পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই ভারি মাত্রায় ফৌজ ও সাঁজোয়া গাড়ি, কামান মোতায়েন রেখেছে লাল ফৌজ। আপাতদৃষ্টিতে সেগুলি আত্মরক্ষার জন্য মনে হলেও, যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাতে সক্ষম ওই বাহিনী। ফলে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারতীয় সেনা। এদিকে, বুধবার চিনা অধিকারিকরা জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মেটাতে সমস্ত সম্ভব চেষ্টা করা হবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, লাল ফৌজের আগ্রাসী মনোভাবের কথা মাথায় রেখে ওই এলাকায় দশ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। উল্লেখ্য, গত শনিবার চিনের মালডো এলাকায় লালফৌজের সেনাঘাঁটিতে ভারত ও চিন সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট কোনও সমাধানসুত্র বের হয়নি। দুই দেশ ‘সম্ভাব্য সমাধানসূত্র’ বের করতে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে মাত্র। এই পর্যায়ের বৈঠকে সেই ‘সম্ভাব্য সমধানসুত্র’ গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সূত্রের খবর, আগামী ২-৩ দিনে আরও একদফা বৈঠক হবে দুই দেশের বাহিনীর। তারপরই স্পষ্ট হয়ে যাবে, প্রকৃত সীমান্তরেখা (LAC) দুই দেশ যে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে, তা সরানো হবে কিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.