প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে বলে বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত। গত কয়েকদিন ধরে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে চট্টগ্রাম। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন সেখানকার হিন্দু ধর্মালম্বীরা। কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন করতে নামানো হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত।
চট্টগ্রামের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। তার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপরে হামলা হচ্ছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তাঁদের জিনিসপত্র লুট হচ্ছে, দোকানপাট ভাংচুর হচ্ছে। হিন্দু সংগঠনগুলোকে নিশানা করে সোশাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক বার্তাও ছড়ানো হচ্ছে। এই সমস্ত কার্যকলাপের নেপথ্যে উগ্রপন্থীরাই রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবারও অনুরোধ, হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ করুন। ব্যবস্থা নেওয়া হোক উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধেও।”
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে হিংসার সূত্রপাত ৫ নভেম্বর থেকে। ওইদিন ওসমান মোল্লা নামে এক মুসলিম ব্যবসায়ী ইসকনের পুরোহিত ও হিন্দুদের নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এমনকি ইসকনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। এই পোস্ট সোশাল মিডিয়ায় ছড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিন্দুরা। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান তারা। গতকাল তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনীর। অভিযোগ, বাহিনিকে লক্ষ্য করে ইঁটপাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর পরই হাজারি গলির বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে হিন্দুদের মারধর করে যৌথবাহিনী। কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এটাই কী তাঁদের ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশ? যেখানে এভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা! উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে,এর আগেও সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে আলাদা করে বাংলাদেশকে বার্তা দিল নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.