সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুদূর ইউক্রেনে চলছে ভয়াবহ যুদ্ধ। প্রতি মুহূর্তে রুশ সেনা ও জেলেনস্কি বাহিনীর সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আর দেশের সীমান্ত থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে চলা এই লড়াইয়ের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারত ও চিনের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। আর এনিয়ে এবার মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে চিন জড়িয়ে পড়তেই ভারতও তৎপর হয়। মস্কো এবং কিয়েভের উপর বেজিংয়ের প্রভাববৃদ্ধি রুখতেই নাকি নয়াদিল্লিকেও কূটনৈতিক পাশাখেলায় শামিল হতে হয়। রবিবার কর্ণাটকের মায়সুরুতে মোদি সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে একটি পারস্পরিক আলোচনা সভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এই সমস্র জল্পনায় জল ঢেলে দেন। তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় জানান, দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সংঘাত থামানোই নয়াদিল্লির উদ্দেশ্য।
এদিন জয়শংকর বলেন, “ইউক্রেন সংঘাতে চিন (China) কিছু করছে বলেই আমরাও তৎপর হয়েছি এমনটা নয়। এই সংঘাত থামিয়ে শান্তি ফেরাতে আমরা সাহায্যা করছি। চিন কী করছে বা করবে সেটা তাদের ব্যাপার এবং অধিকার। সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে যা হয়েছে তাতেও চিনের অবদান ছিল। আমাদের মধ্যে কোনও খেলা হচ্ছে না।” উল্লেখ্য, সম্প্রতী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে শান্তি ফেরাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় বেজিং।
প্রসঙ্গত, একদিকে আমেরিকা, আর অন্যদিকে রাশিয়া-চিন অক্ষ। এই নতুন বিশ্বক্ষমতার ভারসাম্যের রাজনীতিতে নিরপেক্ষ থাকতে চাইছে ভারত। আর-একটি বিশ্বযুদ্ধ কখনওই কারও জন্যই কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রাক্তন ‘কেজিবি’ বস পুতিন যেভাবে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিয়ে এক নয়া সম্প্রসারণবাদের জন্ম দিয়েছেন, তা ভারত সমর্থন করে না। কিন্তু ইউক্রেনকে ন্যাটো যেভাবে অস্ত্র সরবরাহ করছে, রাশিয়াকে পালটা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতেও মার্কিনি সমরবাদের সাবেক অর্থনীতির কায়েমি স্বার্থ জড়িয়ে আছে। ভারত তা জানে। ফলে কূটনীতির সূত্র মেনেই পদক্ষের করছে মোদি সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.