সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের নজর থেকে বাঁচানোর জন্য আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মজুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত মালাক্কা, সুনদা ও লামবক স্ট্রেটে এই যুদ্ধবিমান গুলি মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এই প্রথম এমন গুরুত্বপূর্ণ ও নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
[ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি ভাঙছে আমেরিকা]
কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে এসেছিল, দক্ষিণ চিন সাগরে অন্যান্য দেশের গতিবিধির উপরে নজরদারির জন্য সেখানে শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র মজুত করছে বেজিং। ঠিক সেই ভাবেই এবার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়নে (আইওআর) যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে চলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, মালাক্কা, সুনদা ও লামবক স্ট্রেটে এই তিনটি দ্বীপের মাঝে থাকা ছোট একটি জলপথ ভারত মহাসাগরের সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরকে যুক্ত করে। ৭০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজগুলি ভারত মহাসাগর হয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে যাওয়ার জন্য এই পথ ব্যবহার করে। তবে এই পথেও নজর বসিয়েছে চিন। সূত্রের খবর, একাধিকবার ভারতের নজরে এসেছে এই অঞ্চলে চিনা সেনার যুদ্ধজাহাজ, পারমাণবিক সাবমেরিন বা সাধারণ সাবমেরিনের আনাগোনা। এরপরেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে নয়াদিল্লি। ‘এই অঞ্চলে নজর রাখছে নয়াদিল্লি’ সম্প্রতি এই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বেজিংয়ের কাছে।
[সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাশিয়ার বাজি সশস্ত্র রোবট ‘উড়ান-৯’]
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে ১৯টি যুদ্ধজাহাজ। তৈরি করে ফেলা হয়েছে দুটি ভাসমান ডক। যাতে কোনও যুদ্ধজাহাজ খারাপ হয়ে গেলে, তাকে সারাইয়ের জন্য ভারতীয় উপকূলে না আনতে হয়। যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এই অঞ্চলে। নিকোবর দ্বীপ ও ক্যাম্পবেল বে-তে ভবিষ্যতে গড়ে তোলা হয়ে পারে যুদ্ধবিমান ঘাঁটি। এমনই জানা গিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই সূত্র মারফৎ। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘরোয়া বৈঠকের পরেই প্রথম পদক্ষেপে ৩৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছে ভারত-চিন। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্চে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মজুত এরপরে ভারতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.