সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক ইস্যুতে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে তৈরি ভারত। জঙ্গি মাসুদের পর এবার আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে ইসলামবাদকে কোণঠাসা করতে প্রস্তুত নয়াদিল্লি।
পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায় একঘরে পাকিস্তান। হাওয়া বুঝে পাশে দাঁড়াতে দোনামনা করছে পরম বন্ধু চিনও। একইসঙ্গে আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়ার সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণার প্রস্তাব এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের প্রবল হুমকিতে দিশাহারা ইসলামাবাদ। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উপর আরও চাপ দিতে দাউদকে ফেরত চাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে ভারত। দাউদ ইব্রাহিম করাচিতে কোন এলাকায় থাকে এবং কোন কোন ব্যবসায় তার প্রত্যক্ষ সংযোগ, পাকিস্তানের কটা শপিং মলে দাউদের বেনামি মালিকানা এবং বিদেশের কোন কোন সম্পত্তি তার, তার বিস্তারিত তালিকা দিয়ে এবার দাউদ নিয়েও একটা এসপার ওসপার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত দাউদের পাকিস্তানের থাকা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করেনি পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় আইএসআই যে কাজটি সর্বাগ্রে করে, এবার পুলওয়ামা কাণ্ডের পরও সেটাই করেছে। করাচির ক্লিফটন এলাকার হোয়াইট হাউস থেকে দাউদ ইব্রাহিমকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে আইএসআই গেস্ট হাউসে। একইভাবে আপাতত সরানো হয়েছে হাফিজ সইদকেও। তবে জইশ প্রধানকে নিয়ে রীতিমতো কোণঠাসা পাকিস্তানকে এবার দাউদকে নিয়েও যে বেকায়দায় ফেলা যাবে এরকমই ভাবছে ভারত। আর সেই লক্ষ্যে নতুন ডসিয়ার তৈরি করা হবে।
এতদিন ভেটো প্রয়োগ করেই মাসুদকে রক্ষা করত চিন। চিনের প্রবল বিরোধিতার কারণেই মাসুদের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়নি। কিন্তু পুলওয়ামায় হামলার জেরে বাস্তব পরিস্থিতির চাপে পড়ে চিনও মুখ ফিরিয়েছে পাকিস্তানের দিক থেকে। মনে করা হচ্ছে, চিন এবার মাসুদের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর নিষেধাজ্ঞা কমিটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। এই কমিটি তালিবান, আল কায়দা, চেচেন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই কমিটির কাছেই যাবে মাসুদ সংক্রান্ত প্রস্তাব। এদিকে, মাসুদের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ‘আড়াল করে চলেছে’ মুম্বইয়ে ২০০৮ সালে জঙ্গি হামলায় জড়িত লস্কর-ই-তইবার রাজনৈতিক সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-এ-ইনসায়িত সংগঠনকে। তাদের শুধু ‘নজরদারি তালিকায়’ রেখেই দায় সারল ইমরান খান সরকার।
[‘নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নই’, টুইট পাক প্রধানমন্ত্রীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.