সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার সাগরে শক্তি প্রদর্শন করবে ভারত। বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নিতে আন্দামান সাগরে নৌ মহড়ায় নামবে ভারতীয় নৌসেনা। চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মস্কো সফর চলাকালীনই সেপ্টেম্বরের ৪ ও ৫ তারিখ আন্দামান সাগরে যৌথ নৌ মহড়া চলবে ভারত ও রাশিয়া। এর জন্য তিনটি রণতরী পাঠাবে মস্কো। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মালাক্কা প্রণালীর কাছেই এই মহড়া চিনকে কড়া বার্তা হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। কারণ বাণিজ্যিক দিক থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে বেজিংয়ের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মালাকা প্রণালী। কিন্তু ওই জলপথের দখল কার্যত ভারতের হাতে। এই মহড়ার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, আন্দামান সাগরের এই অঞ্চলেই আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে নভেম্বর মাসে ‘মালাবার’ নৌ মহড়া চলবে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর ফলে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে রাশিয়ার সঙ্গে মজবুত সম্পর্কের বার্তা দিচ্ছে নয়াদিল্লি।
সম্প্রতি, রাশিয়ায় হতে চলা ‘ক্যাভকাজ় ২০২০’ নামের সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসে ভারত। ওই মহড়ায় চিন ও পাকিস্তানও অংশ নিচ্ছে। কিন্তু লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনের মুখে চিনা সেনার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু সামরিক মহড়ায় না বলায় বন্ধু রাশিয়া যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, তাই আন্দামান সাগরে মহড়া শুরু করেছে মস্কোকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। এবং সেই আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করে মজবুত সম্পর্কের বার্তা দিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বিশ্লেষকদের মতে, চিন-ভারত সংঘাত মেটাতে পর্দার আড়ালে থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। বেজিং আর নয়াদিল্লি দুইয়ের উপরই প্রভাব থাকায় এই কাজে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে মস্কো। আর সাউথ ব্লকও চাইছে রুশ হস্তক্ষেপে বিবাদ মেটাতে। ফলে সামরিক মহড়ার অংশ নিতে রাজি হয়েছিল ভারত। কিন্তু পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চিনা সেনা না সরায় অবস্থান বদল করেছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে সংঘর্ষের আবহে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.