Advertisement
Advertisement

দু’বছরের মধ্যে ২২ শহরে ফুরোবে ভূ-গর্ভস্থ জল, চিন্তায় কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী নীতিন গড়করির রিপোর্টে চাঞ্চল্য৷

India to face severe water crisis, warns Nitin Gadkari
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 16, 2018 11:32 am
  • Updated:June 16, 2018 11:32 am  

দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে পড়তে চলেছে ভারত! এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় রিপোর্টে। নীতি আয়োগের তৈরি ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, দু’বছরের মধ্যেই দেশের ২২টি শহরে ভূগর্ভস্থ জল ফুরিয়ে যাবে। সেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর মতো শহরও। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, জনবিস্ফোরণের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে জলের চাহিদা দ্বিগুণ হবে।

[পবিত্র ইদে জম্মু-কাশ্মীরে জেল থেকে মুক্ত ১১৫ জন বন্দি]

Advertisement

দেশে পানীয় জলের জোগান, ব্যবহার ইত্যাদি দিক খতিয়ে দেখে নীতি আয়োগ ‘কম্পোজিট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী নীতিন গড়করি এই রিপোর্টটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জলসম্পদ ব্যবহারে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার। যেখানে জলের সদ্ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে গুজরাত। সাফল্যের তালিকায় এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র। ২০১৬-’১৭র সমীক্ষায় হিমালয় ঘেঁষা ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষস্থান পেয়েছে ত্রিপুরা। এরপরেই রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, সিকিম ও অসম। এই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ ও পুদুচেরির কোনও তথ্য নেই। সেচ ব্যবস্থা, পানীয় জলের বণ্টন কিংবা জলাশয় ব্যবহারের মতো ২৮টি সূচক খতিয়ে দেখে, বিভিন্ন রাজ্যের অবস্থান চিহ্নিত করেছে নীতি আয়োগ।

[খাদির নাম করে বিক্রি হচ্ছে সুতির পোশাক, ফ্যাব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা]

নীতি আয়োগের সূচক (ইনডেক্স) অনুযায়ী, যে ২২ শহরের জলের সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, নাগপুর, হায়দরাবাদ, সাগর, কোয়েম্বাটুর, শোলাপুর, বিজয়ওয়াড়া, ঔরঙ্গাবাদ, উজ্জয়িনী, ভোপাল , লাতুর, কোচি, গুরুগ্রাম, ইন্দোর, অমরাবতী। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত পানীয় জল পাচ্ছেন না দেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষ। পানীয় জলের সমস্যায় প্রতি বছর দু’লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হল, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো যে রাজ্যগুলো জলসম্পদ ব্যবহারে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে, সেই সব রাজ্যের মোট জনসংখ্যা দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। ওই রাজ্যগুলির সম্মিলিত কৃষি উৎপাদন দেশের মোট কৃষি উৎপাদনের প্রায় ২০-৩০ শতাংশ। ফলে এই রাজ্যগুলিতে সঙ্কট বাড়লে সঙ্কটে পড়বে সমগ্র দেশই।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement