Advertisement
Advertisement

জৈব-রাসায়নিক হামলা ঠেকাতে সেনার জন্য আসছে অত্যাধুনিক পোশাক

আরও শক্তিশালী হচ্ছে সেনা৷

India to acquire NBC protective gear from US
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 12, 2017 6:29 am
  • Updated:May 12, 2017 6:30 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০১ সাল৷ আমেরিকার আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাদা রংয়ের খাম৷ ডাকে সাদা খামে ভরা চিঠিপত্র এলেই আতঙ্কিত মার্কিন নাগরিকরা ছুটছিলেন এফবিআই গোয়েন্দাদের কাছে৷ ‘আমেরিথ্রাক্স অ্যাটাক’ নামে কুখ্যাত ওই হামলাগুলিতে সাদা খামে ভরে মারাত্মক অ্যানথ্রাক্স জীবাণু ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল৷ ওই হামলার পরই জৈবিক ও রাসায়নিক হাতিয়ারের প্রয়োগ নিয়ে নড়েচড়ে উঠে বিশ্ব৷

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে চিন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া-সহ একাধিক দেশ জৈবিক ও রাসায়নিক হাতিয়ার তৈরি করছে৷ যুদ্ধক্ষেত্রে যে কোনও সময় ওই হাতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে শত্রুপক্ষ৷ তাই এবার নিজেকে তৈরি করছে ভারত৷ যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের সুরক্ষায় আমেরিকা থেকে ৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক পোশাক ও গ্যাস মাস্ক কিনতে চলেছে ভারত৷ ওই পোশাকগুলি সমস্ত রকমের জৈবিক ও রাসায়নিক হামলা রুখে দিতে সক্ষম৷ জানা গিয়েছে, ওই বিশেষ পোশাক কেনার চুক্তিতে ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে ওয়াশিংটন৷

Advertisement

[২০১৭-তেই বড়সড় জঙ্গি হামলা হতে পারে ভারতে, সতর্ক করলেন মার্কিন গোয়েন্দারা]

জানা গিয়েছে, ‘জয়েন্ট সার্ভিস লাইট ওয়েইট ইন্টিগ্রেটেড স্যুট টেকনোলজি’ নামের প্রায় ৩৮ হাজার বিশেষ পোশাক কিনতে চলেছে ভারত৷ বুধবার এই চুক্তির কথা মার্কিন কংগ্রেসকে একটি নোটিফিকেশন দেয় ‘ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি’ (ডিএসসিএ)৷ সেখানে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে এই চুক্তি আমেরিকার জাতীয় সুরক্ষা ও বিদেশনীতির পক্ষে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ৷ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সামঞ্জস্য বানিয়ে রাখতে ভারতের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এছাড়াও ডিএসসিএ জানায় যে এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে৷ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ ও সামরিক সামঞ্জস্য বানিয়ে রাখতেই এই পোশাকগুলি কিনছে ভারত৷

ক্ষমতায় এসেই সেনাবহিনীর আধুনিকীকরণে মন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আমেরিকা, ইজরায়েল ও রাশিয়া থেকে কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র৷ প্রসঙ্গত, বর্তমানে যে পরিমাণ গোলা-বারুদ সেনা ভাণ্ডারে রয়েছে, প্রবল যুদ্ধ বাঁধলে তা দিয়ে লড়াই করা যাবে মাত্র ১৪ দিন৷ সেনা সূত্রেও গোলাগুলির এই অভাব মেনে নেওয়া হয়েছে৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, যে প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ গুলি ব্যবহার না করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে৷ একই দশা কামান, সাঁজোয়া বাহিনীরও৷

[ইমাম বরকতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের]

কিন্তু বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সেনাবাহিনীতে গোলাগুলির অভাব কেন? সূত্রের খবর, দেশের বৃহত্তম গোলাগুলি প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী সংস্থা অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (ওএফবি) প্রায় ১৪টি ইউনিট থেকে সেনাকে গোলাগুলি সরবরাহ করে৷ কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়৷ দিন দিন প্রশিক্ষণ, নয়া বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ, সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য গোলাগুলির চাহিদা বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু চাহিদা মোতাবেক যোগান দেওয়ার সামর্থ্য বাড়েনি ওএফবি-র৷ যদিও অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

২০১৫ সালের ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, ২০১৬-১৭ সালে ৯.৩ কোটি ৯ এমএম বুলেটের চাহিদা তৈরি হবে৷ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির সাধ্য নেই অত গুলি উৎপাদনের৷ এই মুহূর্তে যত গুলির দরকার, তার চেয়ে অন্তত ৭৫ শতাংশ গুলি কম রয়েছে সেনার ভাঁড়ারে৷ গতবছর তাও একটানা ২০ দিন লড়ার মতো গোলাগুলি ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে ছিল৷ এখন সেই সামর্থ্য কমে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪ দিনে৷ সামরিক বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত কারণ, একদিকে চিন-পাকিস্তানের মতো দেশ তাদের সেনাবহর বাড়িয়ে চলেছে৷ অন্যদিকে আইএস-বোকো হারামের মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের কুনজর রয়েছে এদেশের দিকে৷ এই জোড়া ফলা সামলাতে সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে পর্যাপ্ত গোলাবারুদের ভাণ্ডার তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন সমর-বিশেষজ্ঞরা৷

[গর্ভনিরোধক যন্ত্র হাতে জন্মাল শিশু!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement