সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন-পাকিস্তানকে টেক্কা দিয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। শুক্রবার, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ‘ধনুষ’ ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। ওড়িশার উপকূলে নৌবাহিনীর রণতরী থেকে মিসাইলটি ছোড়া হয়।
[চিন পরমাণু হামলা চালালে পাল্টা বেজিংকে শ্মশান করে দেবে ‘অগ্নি-৫’]
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ধনুষ’। ভূমি থেকে ভূমিতে ও সমুদ্রে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। নৌবাহিনীর জন্য তৈরি এই মিসাইলটি ‘পৃথ্বী’ ক্ষেপণাস্ত্রেরই একটি নয়া সংস্করণ। প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বোমা বহন করতে সক্ষম ধনুষ। শুক্রবার সকাল ১০.৫০ মিনিটে পারাদ্বীপের কাছে মিসাইলটি উৎক্ষেপণ করে নৌবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কম্যান্ড। ডিআরডিও-র আধিকারিকরা এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের উপর নজর রেখেছিলেন। সেনা সূত্রে খবর, ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিলাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ডিআরডিও যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, তার অন্যতম ‘ধনুষ’। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। এর আগে ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল এই ক্ষেপণাস্ত্র শেষবার পরীক্ষা করা হয়।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসেই ‘ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’ অগ্নি-৫-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ভারত। অগ্নি-৫ নিউক্লিয়ার বোমা বহনে সক্ষম আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)। মূলত চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখেই এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা বাড়িয়ে একে আরও ভয়াবহ করে তোলা হয়েছে। এই মিসাইলটি প্রাথমিকভাবে ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। বেজিংকেও নিশানার মধ্যে এনে ফেলেছে ডিআরডিও-র এই ব্রেন-চাইল্ড। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এবার ধনুষের সফল পরীক্ষা চিনের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে৷ সংঘাত বাঁধলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে প্রবল প্রত্যাঘাত আসবে বলেই মনে করছে লালফৌজ।
[উত্তরাখণ্ডে মোতায়েন সুখোই, মিসাইলের আওতায় ‘ড্রাগন’]
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। একইভাবে ডোকলাম থেকে শুরু করে সীমাতে আগ্রাসী হয়েছে লালচিনও। ফলে যেকোনও মুহূর্তেই বেজে উঠতে পারে যুদ্ধের দামামা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে চাইছে কেন্দ্র। একের পর এক মিসাইল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ইসলামাবাদ ও বেজিংকে কড়া বার্তা দিচ্ছে দিল্লি বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.