সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসের (Terrorism) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পাকিস্তানকে (Pakistan) বারবারই সতর্ক করেছে ভারত। অথচ তারপরও তারা উদ্যোগ নেয়নি। করাচি বিস্ফোরণ নিয়ে এদিন এমনই মত ব্যক্ত করল নয়াদিল্লি।
মঙ্গলবার করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Karachi University) ভিতর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়। জখম হন বেশ কয়েকজন। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “ওই বিস্ফোরণের ঘটনা শুধু এদিকেই নজর টানবে যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আরও বেশি কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত। ভারতের অবস্থান যে কোনও রকম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই একইরকম কঠোর এবং অনমনীয়।”
বিশ্বের সমস্ত দেশেরই যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত এদিন সেকথা ফের উল্লেখ করেন অরিন্দমবাবু। বলেন, “কোন দেশে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটল তা দেখে ভারত বিচার করে না। সব ঘটনার প্রতিই সমান কঠোর অবস্থান নেয় এবং নিন্দা ব্যক্ত করে।” ভারত যে বারবারই ইসলামাবাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে দুই দেশ আলোচনায় বসুক, সেই অবস্থানে এখনও অনড় রয়েছে নয়াদিল্লি, মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়া শাহবাজ শরিফের প্রতিও কটাক্ষ করেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। বলেন, কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানের জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাঁকা মন্তব্য ভালভাবে নেয়নি ভারত। বরং পাকিস্তানেরই সে বিষয়ে যে কোনও মন্তব্যের অধিকার নেই, কড়া বার্তা নয়াদিল্লির। সন্ত্রাসমুক্ত আবহে সায় দিলে তবেই যে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
উল্লেখ্য়,মঙ্গলবার দুপুরে আত্মঘাতী হামলায় কেঁপে ওঠে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়। বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে তিনজন চিনা শিক্ষকও ছিলেন বলে জানা যায়। সেই কারণে এই হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বেজিংও। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন, “চিনের মানুষের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। যারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তাদের মূল্য দিতে হবে।” সব মিলিয়ে এই বিস্ফোরণের পরে রীতিমতো চাপের মুখে পড়েছেন সদ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়া শাহবাজ শরিফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.