সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিকিমে থাবা বাড়াচ্ছে ড্রাগন। নানা অজুহাতে সীমান্তে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে লালফৌজ। ১৯৬২ থেকে শিক্ষা নিক ভারত, বলে হুমকি দিচ্ছে বেজিং। তবে ৬২-র লজ্জা ঝেড়ে ফেলতে এবার প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। দোকা লা এলাকায় মুখোমুখি প্রায় তিন হাজার ভারতীয় ও চিনা সেনা। যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এমনই বিস্ফোরক পরিস্থিতিতে চিনকে চাপে রাখতে বঙ্গোপসাগরে বিশাল নৌবহর পাঠিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা।
[ভারতকে টেক্কা দিতে সীমান্তে আরও উঁচু পতাকা পাকিস্তানের]
চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে ভারত মহাসাগরে শুরু হতে চলেছে ‘মালাবার এক্সারসাইজ’। ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে যৌথভাবে মহড়ায় নামতে চলেছে আমেরিকা ও জাপানের নৌসেনা। ‘ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন’-এ চিনের প্রভাব ঠেকাতেই এই মহড়ার আয়োজন বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। এই মহড়ায় ভারত এখনও পর্যন্ত সব থেকে বড় নৌবহর পাঠাচ্ছে বলে খবর। আর আমেরিকা পাঠাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার ‘ইউএসএস নিমিতজ’। থাকছে ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রমাদিত্য’-সহ সাবমেরিন ও ডেস্ট্রয়ার। এই বিপুল শক্তি প্রদর্শনে অশনি সংকেত দেখছে চিন। শুক্রবার এনিয়ে একটি বিবৃতি দেয় চিনা বিদেশমন্ত্রক। বলা হয়, মালাবার মহড়ার নিশানা কোনও ‘তৃতীয় পক্ষ’ নয় বলেই আশা করছে বেজিং। এছাড়াও এশিয়া মহাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। তবে সৌজন্যের চূড়ান্ত উদাহরণ দিয়ে বিবৃতি দিলেও এর পেছনে যে প্রচ্ছন্ন হুমকি লুকিয়ে রয়েছে তা স্পষ্ট।
[বায়ুমণ্ডলে ‘বিষ’, কোনও প্রাণীই বেশিদিন বাঁচবে না মঙ্গলে!]
প্রসঙ্গত, সিকিম, ভুটান ও তিব্বতের ত্রিমুখী সংযোগস্থলে সেনা মোতায়েন নিয়ে ক্রমশই সুর চড়াচ্ছে চিনা সংবাদমাধ্যম। সিকিম ও ভুটান নিয়ে বেজিংকে নিজেদের অবস্থান পুর্নবিবেচনার করার পরামর্শ দিয়েছে চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। ওই সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, চিনা সমাজে সিকিমের স্বাধীনতার দাবি ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে। সিকিম-ভুটান-তিব্বতের ত্রিমুখী সংযোগস্থলে দোকা লা এলাকায় ‘ক্লাস ৪০’ রাস্তা তৈরি করতে চাইছে চিন। এধরনের রাস্তা দিয়ে ৪০ টনের সাঁজোয়া গাড়ি যাতায়াত করতে পারে। এই রাস্তাকে ব্যবহার করে হালকা সাঁজোয়া গাড়ি, কামান ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ভারতের দিকে তাক করে মোতায়েন করতে চাইছে বেজিং। আর এই পরিকল্পনা নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতে সংঘাত এখন চরমে উঠেছে। নিজেদের সীমান্ত রক্ষা করতে দোকা লা এলাকা পুরদস্তুর সেনা মোতায়েনও করে ফেলেছে দুই দেশ। সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চিনের সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.