সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবিষ্যত প্রজন্মের টি-৯০ এমএস ‘তাগিল’ ট্যাঙ্কে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুরক্ষা ব্যবস্থা চায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। যে প্রযুক্তিতে যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র ট্যাঙ্কের দিকে ধেয়ে এলে মাঝপথেই তা ধ্বংস করে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, পাক শেল ওই ট্যাঙ্কের গায়ে লাগলেও ভিতরে থাকা ভারতীয় জওয়ানদের কোনও ক্ষতি হবে না।
ইজরায়েলি ট্যাঙ্কে ইতিমধ্যেই ওই ধরনের অ্যাক্টিভ প্রোটেকশন সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। গাজা অপারেশনে ইজরায়েলের সাঁজোয়া গাড়িতে কোনও মিসাইল আঘাত হানতে পারেনি। সিরিয়াতেও রুশ সেনা ওই একই ধরনের সাঁজোয়া গাড়ি ব্যবহার করেছে। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাঙ্কের ‘আর্মার’ বা কবচের উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। কিন্তু শুধু কবচের উপর নির্ভর করে আধুনিক যুদ্ধে সেনাবাহিনীকে নামাতে প্রস্তুত নয় কোনও দেশ। ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সামনে একা ট্যাঙ্কের কবচ সেনাকে রক্ষা করতে পারেনি। তখন থেকেই এই নয়া সুরক্ষা বিধি নিয়ে উৎসাহ দেখাতে শুরু করে ইজরায়েল, আমেরিকা ও রাশিয়া।
নয়া প্রযুক্তির ট্যাঙ্কে অত্যাধুনিক রেডার লাগানো থাকে। শত্রুরা ক্ষেপণাস্ত্র বা শেল ছুঁড়লে এই রেডারে ধরা পড়বে। ট্যাঙ্কের সুরক্ষা ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম। ট্যাঙ্কের গা থেকে ৫০ মিটার দুরেও ধুলোয় মিশে যাবে শত্রুর মিসাইল, গ্রেনেড বা শেল। ভারতীয় সেনাবাহিনী চায় আধুনিক ৪৬৪ টি-৯০ এমএস ট্যাঙ্কে ওই প্রযুক্তি ইনস্টল করা হোক। ২০১৬-র নভেম্বরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ওই ট্যাঙ্কগুলির অর্ডার দিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ে নিউ জেনারেশন ‘তাগিল’ ট্যাঙ্কে এখনই ওই সুরক্ষা বিধি ইনস্টল করা হচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.