সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ড. মুকুল হাজারিকাই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা প্রধান অভিজিৎ অসম। ৭৫ বছরের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এনআইএ’র (NIA) আনা এই অভিযোগ ব্রিটেনের আদালত উড়িয়ে দিয়েছে গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে। কিন্তু এরপরও না দমে আইনি পথে এগিয়ে যেতে চাইছে নয়াদিল্লি।
অসমের (Assam) বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ULFA (I)’র সভাপতি হিসেবে বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে অভিজিৎ অসমের নাম। ২০১৭ সালে এনআইএ যে চার্জশিট পেশ করেছিল সেখানে বলা হয়েছিল, ড. হাজারিকাই অভিজিৎ অসম।
ঠিক কী লেখা হয়েছিল সেই চার্জশিটে? সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছিল, ”অন্যান্য সমগোত্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে পাওয়া সূত্র থেকে করা তদন্তে এটা জানা গিয়েছে ড. হাজারিকার ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি ক্লেভল্যান্ডে থাকেন। তদন্তকারী দল ড. হাজারিকা ওরফে ড. অভিজিৎ অসম, যেটি তাঁর সাংগঠনিক নাম, তাঁর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছে ব্রিটেনের থেকে।”
এই দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে একটি বক্তৃতার ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল। যে ফুটেজে দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালে মায়ানমারে উলফার প্রশিক্ষণ শিবিরে বিহু অনুষ্ঠানের সময় বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার হন মুকুল হাজারিকার সহকারী গগন হাজারিকা। তাঁর কাছ থেকেই এই ছবি উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু আদালত এনআইএ’র পেশ করা তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের এমন রায়ে আপাতত হতাশ সংস্থা। তবে এবার অন্য আইনি পথে ড. হাজারিকাকে প্রত্যর্পণেই যে নজর দিতে চাইছে ভারত তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
NIA সূত্র বলছে, গত শতাব্দীর সাতের দশকে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে ডাক্তারি পাশ করেছিলেন ড. মুকুল হাজারিকা। পরে তিনি ব্রিটেনে চলে যান ও সেখানেই বসবাস করা শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি ইউরোপের উলফা সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত হন। ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন তিনি। তাঁকে দেশে ফেরাতে মরিয়া এনআইএ। আপাতত নতুন কী পদক্ষেপ করে ভারতীয় সংস্থা, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.