সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার বাসভবন নিয়ে পাকিস্তানের দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিল ভারত। ‘জিন্না হাউস’ ভারতের সম্পত্তি, পাকিস্তানের দাবির কোনও যুক্তি নেই। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল নয়াদিল্লি।
[‘দেশভাগের ষড়যন্ত্র হয়েছিল’, অভিযোগে জিন্নাহর বাড়ি ভাঙার দাবি বিজেপি নেতার]
সাদা রঙের বাংলোটা দীর্ঘদিন রয়েছে মুম্বইয়ের মালাবার হিলস এলাকায়। এটাই ছিল পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কয়েদ-ই-আজম মহম্মদ আলি জিন্নার বাসভবন। অনেকেই বলেন, দেশভাগের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ওই বাংলো থেকেই। বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়িটির মালিকানা দাবি করে আসছে পাকিস্তান। গত বছর ওই ভবনের গুরুত্ব বিচার করে সেটির মর্যাদা রক্ষা করার দাবি জানিয়েছিল পাক বিদেশমন্ত্রক। তারপরই ইতিহাসের ওই বিতর্কিত অংশটি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপত্র রবীশ কুমার বলেন, “জিন্না হাউসের উপর পাকিস্তান কোনওভাবেই দাবি জানাতে পরে না। এই বাড়িটি ভারত সরকারের সম্পত্তি। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসের মতোই এটিকে ব্যবহার করবে সরকার।এই মর্মে বাড়িটির সংস্কারের কাজও শুরু করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সদ্য বাড়িটির মালিকানা দাবি করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে পাকিস্তান। জিন্না হাউসে মুম্বই কনসুলেট স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসলামাবাদের। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জলের দাবি, জিন্না হাউসের মালিকানা পাকিস্তানের, এই কথা মেনে নিয়েছে ভারত। এর সমর্থনে নথিও নাকি রয়েছে ইসলামাবাদের হাতে। তবে পাক চক্রান্তে জল ঢেলে দিয়েছে ভারত। সম্প্রতি মুম্বইয়ের বিজেপি বিধায়ক মঙ্গল প্রভাত লোধা একটি পত্র লিখে জানান, জিন্না হাউসের মেরামতির কাজে হাত দিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, গত বছরই শত্রু-সম্পত্তি আইনে সংশোধনী আনা হয়। যাতে বলা হয়, দেশভাগের সময় ভারত ছেড়ে তখনকার পূর্ব বা পশ্চিম পাকিস্তানে যাঁরা চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের বা তাঁদের উত্তরাধিকারীদের ভারতে থেকে যাওয়া সম্পত্তিতে আর কোনও অধিকার থাকবে না। এরপরই টনক নড়ে ইসলামাবাদের।
[ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাত, ইস্তফা দিলেন ‘ম্যাড ডগ’ ম্যাটিস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.