সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছয় দশক পরে এতখানি দুঃসহ গরমে পুড়ছে কলকাতা। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়েছে শহরের পারদ। উত্তরের কয়েকটি জেলাকে বাদ দিলে রাজ্যজুড়েই চলছে তাপপ্রবাহ। তবে শুধু বাংলা নয়, এপ্রিলের দহন দানব কার্যত গিলে খাচ্ছে গোটা দেশকে! গতকাল কেরলে হিট স্ট্রোক মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এমনকী যে সমস্ত জায়গায় তুলনায় কম গরম পড়ে থাকে, সেখানেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অথবা তা ছাপিয়ে গিয়েছে। ভয়ংকর এই গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে?
এতদিন বেঙ্গালুরুর মনোরম নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া দেশের অন্য শহরের বাসিন্দাদের কাছে ছিল ইর্ষনীয়। পাশাপাশি কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা সংলগ্ন মহারাষ্ট্রেও সাধারণত তীব্র গরম পড়ে না। রাজ্যগুলির সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় সারা বছরই মনোরম আবহাওয়া থাকে। সেখানেও যাবতীয় হিসেব ওলোটপালোট হয়েছে চলতি এপ্রিলে। অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এর মধ্যেই কেরলের কুন্নুর এবং পালাক্কড়ে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আগামী পাঁচদিন দক্ষিণের রাজ্যের ১২ জেলায় অতিরিক্তি তাপমাত্রা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
কেরলের আলপ্পুঝা, তামিলনাড়ুর উটি, মহারাষ্ট্রের মাথেরানের মতো এলাকা মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এই জায়গাগুলিতে ৩৫ ডিগ্রির উপরে ওঠে না তাপমাত্রা। যদিও চলতি এপ্রিলে আলপ্পুঝায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মাথেরানে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পারদ চড়েছিল, যা ওই এলাকায় সর্বোচ্চ। অন্যদিকে লাক্ষাদ্বীপের আমিনিদিভিতে ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছে তাপমাত্রা, যা বিরল।
দিঘা, মন্দারমনির মতো পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও এপ্রিলের দাবদাহে পুড়ছে। প্রতিদিন পুরনো রেকর্ড ভাঙছে রাজ্য। যদিও সপ্তাহান্তে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে একাধিক জেলায়। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই আরও পাঁচ দিন তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি রয়েছে। সাময়িক বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলবে? সময়ই উত্তর দেব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.