সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল চিন (China)। তার পালটা জবাব দিল ভারতও। সাফ জানিয়ে দিল, ১৯৫৯ সালে একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা চিহ্নিত করেছিল চিন। ভারত সেই সীমারেখাকে স্বীকারই করে না। বরং এ নিয়ে একাধিকবার দু’দেশের আলোচনা হয়েছে। এদিন সেই তথ্যও তুলে ধরে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সীমান্ত নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ফের বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমস সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখকে চিন কখনও স্বীকারই করেনি, এমনই মন্তব্য করেছে সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। আবার দিন কয়েক আগে চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, ১৯৫৯ সালে জওহরলাল নেহরুকে চিনের রাষ্ট্রপতি ঝৌ এনলাই যে LAC-র প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটাই বেজিং মেনে চলে। ১৯৫০ সালে চিনের বেঁধে দেওয়া নিয়ন্ত্রণরেখা সেটি। বেজিংয়ের অভিযোগ, তারপর থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী বারবার সীমানা অতিক্রম করেছে। ভারত বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা ও সামরিকসজ্জা সরিয়ে নিলেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, চিনের প্রস্তাবিত নিয়ন্ত্রণ রেখা কোনও দিন মেনে নেয়নি ভারত।
এ প্রসঙ্গে এদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “১৯৫৯ সালে একতরফা ভাবে বানানো LAC ভারত কখনওই স্বীকার করে নি। ভারতের এই অবস্থান চিন সহ গোটা বিশ্ব জানে।” এরপরই প্রমানস্বরূপ ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চুক্তি ও তারপর ২০০৫ সালের বোঝাপড়ার কথা তুলে ধরেন তিনি। সেগুলি প্রত্যেকটিই এলএসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার কথা বলে, এমনটাই দাবি শ্রীবাস্তবের। এদিন তিনি আরও বলেন, ” চিন একদিকে বলছে যে দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা উচিত, আবার ১৯৫৯ সালের এলএসি মেনে চলতে চাইছে, দুটি একসঙ্গে কি ভাবে সম্ভব?” গত কয়েক মাস ধরেই পূর্ব লাদাখে উত্তেজনা রয়েছে। আলোচনার টেবিলে বসে তা মেটানোর চেষ্টা চলছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উটল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.