সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজ্ঞানের উন্নতিতে পশ্চিমি দুনিয়ার চেয়ে ঢের বেশি এগিয়েছিল ভারত। কারণ ৭ হাজার বছর আগেই পুষ্পক রথ বানিয়ে ফেলেছিলেন ভারতীয়রা। কিন্তু যোগ্য দেশনেতার অভাবে স্বীকৃতি পায়নি তাঁদের এই আবিষ্কার। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের সূচনায় এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। শুধু আকাশে ওড়ার যানই নয়, মাধ্যাকর্ষণ ও অ্যাটমিক তত্ত্বও পশ্চিমি দুনিয়ার অনেক আগেই আবিষ্কার করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা- এমনটাই মত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর মতে, পশ্চিমি দুনিয়ার থেকে ভারত বিজ্ঞান শিখেছে, এরকম ধারণা ছেড়ে বেরিয়ে আসা দরকার।
বিজ্ঞান উৎসবের সূচনায় ভাষণ দিতে গিয়ে একাধিক ভারতীয় বিজ্ঞানীর প্রসঙ্গে কথা বলেন শিবরাজ। “গর্বের সঙ্গে আমি বলতে পারি, ডালটনের অ্যাটমিক থিওরি আবিষ্কারের প্রায় ২ হাজার বছর আগেই এই তত্ব প্রকাশ করেছিলেন মহর্ষি কণাদ। আইজ্যাক নিউটনের বহু আগেই ভারতের ভাষ্করাচার্য মাধ্যাকর্ষণের কথা বলেছিলেন”, এমনটাই বলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই মহান ভারতীয়দের নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত ছোট ছেলেমেয়েদের।
চিকিৎসাবিজ্ঞানেও ভারত বরাবর বহু এগিয়েছিল ভারত। সেই বিষয়ে শিবরাজ বলেন, অথর্ববেদে নানা অসুখের জন্য ওষুধের কথা লেখা আছে। সেই সঙ্গে চরক ও শুশ্রুতর লেখা বইয়েই বর্তমান চিকিৎসাপদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া যায়। শিবরাজের কথায়, “শুশ্রুতের সময়েই প্লাস্টিক সার্জারি করা হত। এই কথা শুধু আমার নয়, সারা বিশ্ব একই কথা বলছে।” বিজেপি নেতার মতে, ভারত বরাবরই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করে এসেছে। ধর্মের সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনও ভেদ নেই, বরং একে অপরের পরিপূরক।
বর্তমান ভারতে অবশ্য বিজ্ঞানচর্চার বিকাশ ঘটছে বলেই মনে করেন শিবরাজ। করোনা ভ্যাকসিনের উদাহরণ নিয়ে তিনি বলেন, “কোভিডের হানায় গোটা দুনিয়া যখন বিপর্যস্ত, সকলে ভেবেছিল আমেরিকা , ব্রিটেন ,জার্মানি, জাপানের মতো দেশগুলিই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করবে। কিন্তু আমাদের দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যদি তা না হত, আমরা এখানে মাস্কে মুখ ঢেকে বসে থাকতাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে গৌরবের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত, কারণ তাঁর চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.