সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপাতত গম (Wheat) রপ্তানি করছে না ভারত। চিনি (Sugar) রপ্তানিতেও টানা হয়েছে রাশ। এদিকে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিতে কি একই নিয়ম চালু হচ্ছে চালের (Rice) ক্ষেত্রেও? চাল রপ্তানিতেও কি রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র? এমন গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছিল সম্প্রতি। অবশেষে সরকারি সূত্র জানিয়ে দিল, এমন কোনও পরিকল্পনা কিন্তু নেই কেন্দ্রের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক সিনিয়র সরকারি আধিকারিকের দাবি, যথেষ্ট পরিমাণে চাল মজুত রয়েছে। এবং স্থানীয় বাজারদরও রাজ্যের বেঁধে দেওয়া মূল্যের থেকে কমই। ফলে চাল রপ্তানি বন্ধ করার কোনও রকম পরিকল্পনাই কেন্দ্রের নেই। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিকের কথায়, ”পর্যাপ্তেরও বেশি চাল মজুত রয়েছে আমাদের কাছে। এবং চালের মূল্যবৃদ্ধি কিংবা রপ্তানি-আমদানিতে রাশ টানা হতে পারে, এমন কোনও আশঙ্কা নেই।”
একই কথা জানিয়েছেন ‘অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি বি ভি কৃষ্ণ রাও-ও। তিনি জানিয়েছেন, চাল ও ধান মজুত রয়েছে মোট ৬৬.২২ মিলিয়ন টন। যা টার্গেট ১৩.৫৮ মিলিয়ন টনের থেকে অনেক বেশি। সুতরাং চাল রপ্তানি বন্ধ করার কোনও প্রয়োজন পড়বে না।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ সেনা ঢুকে পড়তেই তার সর্বব্যাপী প্রভাব পড়তে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে। বিশ্বের বাজারে গমের দাম ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আসলে গম রপ্তানির ২৯ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের টালমাটাল পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে গমের জন্য ভারতেরই উপর নির্ভরশীল বিশ্ব। কিন্তু ভারত গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেননা দেশীয় বাজারে গম ও গমজাত দ্রব্যের দাম ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে রপ্তানি বন্ধের পথেই হাঁটতে হয়েছে কেন্দ্রকে। পরবর্তী সময়ে চিনি রপ্তানির ক্ষেত্রেও রাশ টানার পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। আপাতত রপ্তানির সীমা এক কোটি টনে বাঁধা হয়েছে। এই সপ্তাহেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে গম, চিনির রপ্তানি নিয়ে এহেন সিদ্ধান্তের কোনও ছায়া চাল রপ্তানিতে যে পড়বে না, তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.