Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kashmir

এবার কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলন! পাকিস্তানকে চাপে ফেলে কৌশলী দিল্লি

কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাগাতার দরবার করছে পাকিস্তান।

India gets G-20 leadership; first summit in J&K? - Pakistan is already lobbying, say reports | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 17, 2022 9:31 am
  • Updated:November 17, 2022 9:31 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাগাতার দরবার করছে পাকিস্তান। বারবার রাষ্ট্রসংঘে সরব হয়েছে পড়শি দেশটি। কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম দেশগুলিকে নিজের পক্ষে টানতে মরিয়া প্রয়াস ইসলামাবাদের। এহেন পরিস্থিতিতে একটি মোক্ষম চাল দিয়েছে ভারত বলে খবর। একাধিক রিপোর্ট মোতাবেক, আসন্ন জি-২০ সম্মেলন হতে পারে কাশ্মীরে। আর পাকিস্তানকে চাপে ফেলতেই নাকি এই কৌশল দিল্লির।

মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বালিতে শুরু হয় দু’দিনের জি-২০ সামিট (G-20 Summit)। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে জোটের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো।এক বছরের জন্য জি-২০-র সভাপতি পদে থাকবে ভারত। আগামী বছর (২০২৩ সালে) এই জোটের পরবর্তী সম্মেলন হতে চলেছে নয়াদিল্লিতে। সূত্রের খবর, সম্মেলনের বিভিন্ন আলোচনা সভার অনুষ্ঠানস্থলের তালিকায় রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নাম। এনিয়ে তৎপর হয়েছে কাশ্মীর প্রশাসন। বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশিকা পেয়েই নাকি সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য একটি পাঁচ সদস্যের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে, আগামী বছর ভূস্বর্গে একমঞ্চে দেখা যাবে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিশ্বের অর্থনীতির ৮০ শতাংশ জিডিপি জি-২০ দেশগুলির দখলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ দখল ট্রাম্পের দলের, ‘বিভক্ত’ সরকারে চাপে বাইডেন!]

বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীরে (Kashmir) জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে তা পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্বের কাছে কূটনৈতিক বার্তা হিসেবেই গণ্য হবে। কাশ্মীর ইস্যুতে কোন কোন দেশ ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করছে সেই কথাও স্পষ্ট হয়ে যাবে। বলে রাখা ভাল, গোড়া থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে স্পষ্ট জানিয়েছে ভারত। এই বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। উপত্যকায় বিশেষ ধারা রদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও যে কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না, সেই বার্তাই দেওয়া হবে সম্মেলনের মাধ্যমে।

উল্লেখ্য, জি-২০ জোটের সদস্য হচ্ছে–আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, সাউথ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্বের অর্থনীতির ৮০ শতাংশ জিডিপি জি-২০ দেশগুলির দখলে। তাই কাশ্মীর ইস্যুতে জি-২০ মঞ্চের মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর ভারত কাশ্মীরে সম্মেলন আয়োজন করে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করতে চাইছে। এছাড়া, বালিতে এবছরের সম্মেলেনে যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঠীকে শুরু করে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে বার্তা দিয়েছেন মোদি, তাতেও ইসলামাবাদ কিছুটা উদ্বিগ্ন।   

[আরও পড়ুন: বালিতে মোদি-জিনপিং করমর্দন, জাপান সাগরে গর্জন ভারতীয় রণতরীর, কী বার্তা দিল্লির?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement