সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গোরক্ষার নামে মুসলমানদের উপরে অত্যাচার বন্ধ না হলে, আরও একটা দেশ ভাগ দেখবে দেশ৷’ ঠিক এই ভাষাতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন পিডিপি নেতা মুজাফ্ফর হুসেন৷ বললেন, এই তাণ্ডব রোধে এখনই তৎপর বন্ধ হওয়া উচিত প্রশাসনের৷ নেওয়া উচিত কঠোর পদক্ষেপ৷ পাশাপাশি, রাজস্থানের আলোয়ারে গরু পাচারকারী সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় কেন্দ্রতে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি৷
[আধার নম্বর নিয়ে তথ্য ফাঁস করে দেখান, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিপাকে ট্রাই প্রধান]
শনিবার ছিল পিডিপি-র ১৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস৷ সেই উপলক্ষে শ্রীনগরের একটি জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন বারামুলার এই সাংসদ৷ সেখানে বক্তৃতার সময়েই দেশভাগের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি৷ বলেন, ১৯৪৭-এর দেশভাগের সমস্যা রোজ পোয়াতে হচ্ছে কাশ্মীরকে৷ আবারও একই ভুল হতে দেওয়া যায় না৷ গোরক্ষার নামে মুসলিমদের উপরে সমগ্র দেশে যে অত্যাচার চলছে তা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন৷ নাহলে আরও একবার দেশভাগ আসন্ন৷ তবে পিডিপি সাংসদের হঠাৎ এই বোধদয়ের পিছনে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তা কোনও মতেই অস্বীকার করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ অভিযোগ তুলে জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-র সঙ্গে আগেই জোট ভেঙেছে বিজেপি৷ সংখ্যালঘু সরকার হয়ে পড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছে পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতিকে৷ এমতঅবস্থায়, গোরক্ষার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে পালটা চাপে ফেলার জন্যই পিডিপি সাংসদের এমন হুমকি বলে মনে করছেন তাঁরা৷
[আরও মজবুত দিল্লির নিরাপত্তা, হামলার আগে আকাশেই ধ্বংস হবে শত্রুর মিসাইল]
গণধোলাইয়ে মৃত্যু ও গোরক্ষার নামে উগ্র গেরুয়াপন্থীদের তাণ্ডব নিয়ে অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রের মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁদের অভিযোগ, হিন্দুত্বের নামে গোটা দেশজুড়ে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের অভিযোগের উত্তরও দিয়েছে কেন্দ্র৷ গণপিটুনি ও গোরক্ষকদের তাণ্ডব রুখতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ উঠলে কোনও রং না দেখেই আগে কড়া পদক্ষেপ নিক রাজ্য সরকারগুলি৷ একাধিকবার তিনি বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্যের বিষয় তাই তাতে হস্তক্ষেপ করবে না কেন্দ্র৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.