নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়া জোটে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জোটে ২৬টি রাজনৈতিক দল থাকলেও কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, আপ, শিব সেনার (উদ্ধব) মতো দলগুলিই প্রধান চালিকা শক্তির ভূমিকা নিচ্ছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শেই ইন্ডিয়া জোটের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন দলীয় সাংসদরা। তৃণমূলের তৈরি করা পোস্টারই মণিপুর নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের আনুষ্ঠানিক পোস্টারে পরিণত হয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির থিমেই পোস্টারগুলি তৈরি করেছে তৃণমূল। সেই পোস্টার নিয়েই ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের সাংসদরা মণিপুর গেলেন। আগামী দিনেও তৃণমূলের তৈরি করা জার্সির থিমকে সামনে রেখেই বিভিন্ন ইস্যুতে পোস্টার তৈরি করার ভাবনাচিন্তা চলছে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে। সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও প্রথম দিন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তৃণমূল। পাটনায় জোটের প্রথম বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে আপের দূরত্ব নিরসনে বড় ভূমিকা পালন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার জেরেই যে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলের বিরোধিতায় আপ কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছে, সেকথা সর্বজনবিদিত।
আগামিদিনে ইন্ডিয়া জোটে আরও দল যাতে সংযুক্ত হয় সেই বিষয়টি নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেস নিজের মতো কাজ করছে। সূত্রের খবর, তেলঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে তৃণমূলের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই তারা ইন্ডিয়া জোটকে সঙ্গ দিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের বৈঠক থেকে একদিন ওয়াক আউট, একদিন বয়কট করেছে। দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলে বিআরএস ইন্ডিয়া জোটের পাশে থাকবে, এমন সম্ভাবনাই প্রবল।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ানের সঙ্গে বিআরএসের রাজ্যসভার দলনেতা কে কেশব রাও বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত আলোচনা করছেন। ডেরেক বলেছেন, “বিআরএসের সঙ্গে তৃণমূলের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দিনে পাঁচবার পর্যন্ত কথা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক আছে।” জানা গিয়েছে, আগামী বছরের শুরুর দিকে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বিআরএস ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে দূরত্ব রাখছে। ভোট শেষ হলেই তারা ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেবে, এমন সম্ভাবনাই প্রবল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.