সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে যুদ্ধের মেঘ কাটাতে বড় পদক্ষেপ করল ভারত ও চিন। সূত্রের খবর, এবার প্যাংগং হ্রদের আশেপাশে এপ্রিল ও মে মাস থেকে নতুন করে তৈরি সামরিক পরিকাঠামো ভেঙে ফেলতে রাজি হয়েছে যুযুধান দুই পক্ষ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, প্যাংগং সো’র (Pangong Tso) ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত আপাতত টহলদারি বন্ধ রাখবে ভারতীয় ও চিনা ফৌজ। পাশাপাশি, ওই এলাকায় নজরদারি চৌকি রাখার দাবিও ছেড়ে দিয়েছে বেজিং। এদিকে দেপসাং সমতল অঞ্চলে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। ওই অঞ্চলে ভারতের বেশকিছু পেট্রোলিং পয়েন্ট বন্ধ করে রেখেছে চিনা সেনাবাহিনী। সব মিলিয়ে ওই অঞ্চলে এপ্রিল-মে মাসের অবস্থানে ফিরে যেতে পদক্ষেপ করছে দু’পক্ষ।
গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চিনা বাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে আগস্ট ২৯ ও ৩০ তারিখে। একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান বদলে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করতে এগিয়ে আসে প্রায় ২০০ চিনা সৈনিকের একটি দল। তবে এবার প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বাহিনী। আগ্রাসন প্রতিহত করে এতদিন পর্যন্ত ফাকা পড়ে থাকা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলগুলির দখল নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা। বেগতিক দেখে পিছিয়ে যায় লালফৌজ। যদিও চিনের দাবি, তারা সীমান্তে কোনও রকম আগ্রাসন দেখায়নি। উলটে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধেই সীমান্ত পার হয়ে উত্তেজনা ছড়াবার অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এপর্যন্ত ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে চিন (China) ও ভারতের মধ্যে। নভেম্বরের ৬ তারিখ চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস-এর ব্রিগেডিয়ার ঘাই। ওই বৈঠকের পর সরকার দাবি করে, বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.