Advertisement
Advertisement
Jaishankar

দেপসাং, ডেমচক থেকে সরল লালফৌজ? সংসদে জয়শংকরের বিবৃতিতে পালটা প্রশ্ন কংগ্রেসের

ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলে দাবি জয়শংকরের।

India-China relations have progressed, S Jaishankar says in Lok Sabha

ফাইল ছবি

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:December 3, 2024 8:15 pm
  • Updated:December 3, 2024 8:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় এমনই দাবি করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে দুদেশের আলোচনায় সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম গত অক্টোবরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দুই দেশের চুক্তি। আর তাঁর এই দাবির পরই পালটা আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। দাবি করেছে, চিন যে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেছিল বলে একসময় দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, তা একপ্রকার মেনেই নিলেন বিদেশমন্ত্রী।

এদিন লোকসভায় জয়শংকর বলেন, ”আমাদের সম্পর্কের (চিনের সঙ্গে) ক্ষেত্রে শান্তি ফেরানোই যে আমাদের লক্ষ্য সেব্যাপারে আমরা গোড়া থেকেই পরিষ্কার ছিলাম। ২০২০ সাল থেকে সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়েছি।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর দেপসাং ও ডেমচক নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর সেনার তরফে জানানো হয়, ডেমচক এবং দেপসাংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুদেশ। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক নজরদারি। তবে এখনও যেসমস্ত সমস্যা রয়েছে সেগুলো মেটানোর জন্য নিয়মিত আলোচনায় বসবেন দুদেশের সেনার কমান্ডার পর্যায়ের আধিকারিকরা।

Advertisement

এদিকে জয়শংকরের এই দাবির পালটা দিয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত বলেন, ”লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও সমস্ত বিরোধীরা দাবি করেছিলেন চিন আমাদের ভূমি দখল করেছে, সেকথা আজ জয়শংকর মেনে নিলেন। তিনি বরং এটা বলুন যে ২০২০ সালের পরিস্থিতি আবার কবে হবে।”

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে পর্যন্ত সীমান্তে স্রেফ টহলদারি চালাত ভারত-চিন। কিন্তু গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সেনা মোতায়েন করে দুদেশই। এমনকি অস্থায়ী ছাউনি-সহ নানা নির্মাণও দেখা যায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাজুড়ে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও দুদেশের মধ্যে বৈরিতা বাড়ে। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দিল্লি-বেজিং একমত হয়। এবার নতুন করে বিতর্ক বাড়ল জয়শংকরের বিবৃতি ঘিরে। এখন দেখার, এর জবাবে কেন্দ্র কী বলে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement