ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) আবহে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখোমুখি বৈঠকে বসল দুই দেশ। চুশুল-মলডো সীমান্তে কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আলোচনা হয়েছে শুধুমাত্র লাদাখ (Ladakh) সংলগ্ন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়েই। বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০ ডিসেম্বর দুই দেশের সেনার কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। চুশুল-মলডো সীমান্তের এই বৈঠকে মূলত শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের রাষ্ট্রনীতি মেনেই যেন সীমান্ত এলাকায় শান্তি ফিরে আসে, সেই বিষয়ে বিশদে কথা হয়েছে দুই দেশের কমান্ডারদের মধ্যে। লাদাখ সংলগ্ন এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সহমত হয়েছে দুই পক্ষই। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়টি জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই যেন সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার বিষয়টি উঠে এসেছে এই বৈঠকে। যদি দুই দেশের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত সহমত হয়ে তা মিটিয়ে নিতে হবে বলেও এই বৈঠকে (India-China Meeting) আলোচনা হয়েছে। যদিও তাওয়াং সংঘর্ষ বা তার পরবর্তীকালে দুই দেশের সামরিক তৎপরতা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে কিছু বলা হয়নি। কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, তাও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, তাওয়াংয়ে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পরেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক তৎপরতা বেড়ে যায়। একাধিক বায়ুসেনাকে ঘাঁটিতে সতর্কতা জারি করা হয়। সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় চিন সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মহড়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বায়ুসেনা। তাওয়াং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, একাধিক উপগ্রহচিত্র থেকে দেখা যায়, ভারতের সঙ্গে সীমান্তে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন। লাদাখ নিয়ে বৈঠক হলেও উত্তর-পূর্বের উত্তেজনা থামবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর অধরাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.