সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে বাঁচতে চিনে মিলছে না মাস্ক। বাতাবি লেবুর খোসা, জলের বোতল, স্যানিটারি প্যাড আর অন্তর্বাসকে মাস্ক বানিয়ে মুখে বাঁধছেন চিনের মানুষ। এই পরিস্থিতি যাতে ভারতে না সৃষ্টি হয়, আগে থেকেই তাই ব্যবস্থা নিল প্রশাসন। এখন থেকে কোনও রিসপিরেটরি মাস্ক দেশের বাইরে রপ্তানি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (DGFT)।
একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, বায়ুবাহিত কণা ও শ্বাসকষ্ট হয় এমন অন্যান্য জীবাণু থেকে রক্ষা করতে যে মাস্ক বা কাপড়ের টুকরো ব্যবহার হয়, সেগুলি রপ্তানি করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলেও জানিয়েছে DGFT। প্রয়োজন পড়লে দেশে যাতে রিসপিরেটরি মাস্কের জোগান ঠিক থাকে, তার জন্যই এই বন্দোবস্ত বলে খবর।
উল্লেখ্য, চিনের ইউহান প্রদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য ২টি বিমান পাঠানো হয় ভারত থেকে। প্রায় ৪০০ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। যাদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া। এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছেন, বিমানে কোনও পরিষেবার ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয় তাই সিটের পকেটে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা ছিল। তাই যাত্রীদের কোনও অসুবিধা হয়নি। বিমানে কোনও পরিষেবার ব্যবস্থা না থাকায় করোনা ভাইরাসের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। এছাড়া যাত্রী ও ক্রুদের জন্য মাস্কের ব্যবস্থা ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দেশে ফেরা ভারতীয়দের আপাতত ‘করেনটাইন’ করে রাখা হবে। অর্থাৎ আগামী ১৪ দিন দিল্লির কাছে মানেসরের বিশেষ আইসোলেশন ক্যাম্পে চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকবেন তাঁরা। এর মধ্যে তাঁদের দেহে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ না মিললে তবেই বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে বাড়ি ফেরার পরও তাদের উপর জেলাস্তরে নজরদারি চালানো হবে। জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারির আকার নেওয়ায় চিনের ইউহান প্রদেশে প্রায় ৬০০ জন ভারতীয় আটকে রয়েছেন। তাদের সকলকে ফিরিয়ে আনার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানের বন্দোবস্ত করেছে সরকার। হুবেইতে আটকে থাকা ভারতীয়দের দ্রুত ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। চালু হয়েছে হট লাইনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.