Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন ভারত

লাদাখে অব্যাহত লালফৌজের আগ্রাসন, বিবাদ মেটাতে প্রতি সপ্তাহে বৈঠকের ভাবনা দু’দেশের

চিনকে কি আর বিশ্বাস করা যায়? প্রশ্ন কূটনৈতিক মহলের।

India and China have agreed to hold weekly talks on ladakh
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 29, 2020 9:36 am
  • Updated:June 29, 2020 9:36 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েক দফা আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এমনকী ‘লোকদেখানো’ সেনা প্রত্যাহারের নাটকও করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। কিন্তু বাস্তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। চিন যখনই সুযোগ পাচ্ছে গালওয়ান, প্যাংগং লেক, পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪, পেট্রলিং পয়েন্ট ১৫’র মতো এলাকাগুলিতে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে। চিনাদের এ হেন ‘পিছন থেকে ছুরি’ মারার প্রবণতা সত্বেও নয়াদিল্লি এখনই আলোচনার পথ ছাড়তে চাইছে না। সীমান্তের বিবাদ মেটাতে এখন থেকে সাপ্তাহিক বৈঠকের পথে হাঁটতে চলেছে দুই দেশ।

নয়াদিল্লি সূত্রের খবর, সীমান্তের বিবাদ মেটাতে অসামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় দুই দেশই। সেজন্য এখন থেকে দুই দেশের মধ্যে আয়োজিত WMCC (Working Mechanism for Consultation and Coordination) সাপ্তাহিক বৈঠকে নিয়মিত আলোচনা হবে সীমান্ত ইস্যু নিয়ে। গত সপ্তাহেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ধরনের আলোচনা হয়েছে। ভারতের আশা, চিনের সঙ্গে এই আলোচনা নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে এবং আরও সেনা প্রত্যাহারে সাহায্য করবে। গত সপ্তাহের বৈঠকে চিনারা ১৯৫৯ এবং ১৯৬০ সালের সীমান্তের মানচিত্র এনে দাবি করেছে, এই মানচিত্র অনুযায়ীই ভারত ও চিনের সীমান্ত নির্ধারিত হওয়া উচিত। ভারত সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। মোট কথা, এখনও পর্যন্ত আলোচনায় কোনও সমাধানসুত্র বের হয়নি। তবে দুই দেশই মনে করছে, আলোচনাই সমাধানের উপায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাদাখে ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে লালফৌজ, অনেক আগে সতর্ক করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা]

এখন প্রশ্ন হল, চিনকে (China) কি বিশ্বাস করা যায়? গত ৬ জুন দুই দেশের মধ্যে শান্তি বৈঠকের পরও ১৫ জুন ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছে চিনারা। তারপরও দু’দফায় বৈঠকে শান্তির কথা বলা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে। আবার সুযোগ পেলেই ভারতীয় ভূখণ্ডে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে তাঁরা। উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবিও ধরা পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চিনের এই ‘দ্বিমুখী’ নীতি কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কূটনীতিবিদরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement