সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথাবার্তা চলছিল অনেকদিন ধরেই। এবার তাতেই পড়ল সিলমোহর। নতুন বছরই বাংলাদেশের মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ৩ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হল দুই দেশের মধ্যে। লক্ষ্মীবারই ভারত, বাংলাদেশ, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ভ্যাকসিন চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তারই তিন কোটি ডোজ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India) থেকে কিনবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই বলেছিলেন, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সকলকে একত্রিতভাবে লড়তে হবে। সেই লক্ষ্যে এই বড় পদক্ষেপ ভারতের। ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী টুইটারে লিখেছেন, এই চুক্তির মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের নয়া অধ্যায় রচনা করল ভারত। ভ্যাকসিন বন্টনে ভারত পাশে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞ বাংলাদেশও।
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকার ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসই বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। মউ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মেলকিও। তিনিও জানান, সেরামের থেকে ৩ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ মিলবে। ভারতে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ডোজ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের পাশাপাশি আগ্রহী মায়ানমার, কাতার, ভুটান, সুইজারল্যান্ড, বাহরাইন, অস্ট্রিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াও।
এদিকে, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি ও কোভ্যাক্সের অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণও শুরু হবে। বাংলাদেশ তখন এই ভ্যাকসিন পাবে। প্রথমে সে দেশে আসবে মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ ভ্যাকসিন। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে আরও ১৭ শতাংশ পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ কোটি ৮০ লক্ষ ডোজ বা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.