ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামজন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম শরিক শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের উত্তরসূরী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) আশঙ্কা, অযোধ্যায় রামমন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের পরে গোধরা-পরবর্তী পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে। বস্তুত, আগামী বছরের জানুয়ারিতে অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওইসময় দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে বহু হিন্দু তীর্থযাত্রী উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় যাবেন।
রবিবার কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (ইউবিটি) সুপ্রিমো আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ওই তীর্থযাত্রীরা অযোধ্যা থেকে ফেরার সময় গোধরার মতো পরিস্থিতি হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের গোধরা স্টেশনের কাছে সবরমতি এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৫৯ জন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। ট্রেনটিতে অযোধ্যা থেকে করসেবকরা ফিরছিলেন। এরপরেই গুজরাতে ভয়ঙ্কর দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল।
মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে এক সমাবেশে উদ্ধব বলেন, “সরকার (কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ) রামমন্দির উদ্বোধনের সময় সমাবেশের জন্য বিপুল সংখ্যক লোককে “এটি একটি সম্ভাবনা যে সরকার বাস এবং ট্রাকে রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য বিপুল সংখ্যক লোককে বাস ও ট্রাকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে এবং তাদের ফিরতি যাত্রায়, গোধরার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। বিজেপি নির্বাচনে জয়ের জন্য সবকিছু করতে পারে।”
ঠাকরে এদিন বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে আক্রমণ করে বলেন, “ওদের নিজস্ব কোনও ‘আইকন’ নেই। নিজেরা কোনও প্রতিমূর্তি তৈরি করতে না পেরে কখনও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, কখনও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো কিংবদন্তিকে নিজের মতো করে ব্যবহার করে। তারা এখন আমার বাবা বাল ঠাকরের উত্তরাধিকার দাবি করার চেষ্টা করছে।
বস্তুত, মহারাষ্ট্রে ২০১৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পরে কংগ্রেস এবং এনসিপির সাঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠনের পরে বাল ঠাকরের আদর্শ ত্যাগ করেছেন বলে বিজেপি প্রায়শই উদ্ধবের দিকে আঙুল তোলেন। গত জুনে শিবসেনা ভাগ হওয়ার পরে আক্রমণ আরও তীব্র করেছে বিজেপি ও শিবসেনা (শিন্ডে)। উভয় দলই নিজেদের শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতার প্রকৃত উত্তরাধিকারী বলে দাবি করা শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.