সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসাবধানতা নাকি গাফিলতি, কীভাবে বিশাখাপত্তনমের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ল পরিবেশে? বেলা যত গড়াচ্ছে, ততই জোরালো হচ্ছে প্রশ্নটা। পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল LG’র ওই কারখানা। সেইসময় গ্যাস ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণে ভাঁটা পড়েছিল। আর তার জেরেই বৃহস্পতিবার এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যদিও সংস্থার দাবি, কারখানা বন্ধ থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণ চলছিলই। তাঁরা গাফিলতির অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দর নগরী বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানা থেকে গ্যাস লিক করে। প্রশাসন ও কেমিক্যাল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেই পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সেই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮০০-রও বেশি মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। জানা গিয়েছে, বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশে সঙ্গে মিশে গিয়েছে। সেই বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁচাতে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই এলাকায় ২০০টি বাড়িতে বহু মানুষ এখনও আটকে রয়েছে বলে খবর। সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? এই প্রতিষ্ঠানের মালিক দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাটারি নির্মাতা এলজি কেমিক্যাল লিমিটেডের তরফে বলা হয়েছে, “কীভাবে ওই গ্যাস লিক হল এবং এর জেরে কতজনের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি।”
#UPDATE Death toll due to #VizagGasLeak is now 11: SN Pradhan, Director General of National Disaster Response Force (NDRF) https://t.co/rowa62oqj7
— ANI (@ANI) May 7, 2020
তবে প্রশাসন ও পুলিশের তদন্তে রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কথাই উঠে আসছে। ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল। ফলে শিল্প উৎপাদন, কল-কারখান সমস্তকিছুই বন্ধ ছিল। ঝাঁপ ফেলেছিল এই সংস্থাও।গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পুর কর্পোরেশনের কমিশনার শ্রীজানা গুমল্লা বলেছেন, “দেশজুড়ে চলতে থাকা লকডাউনে বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল করার পরেই কয়েকদিন আগে এই প্ল্যান্টটি পুনরায় চালু করা হয়।” লকডাউনে কারখানার গ্যাস উৎপাদনের ট্যাঙ্কগুলির রক্ষণাবেক্ষণ কম হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ফলে ট্যাঙ্কের ভিতর রাসায়নিক বিক্রিয়া চলছিল। তার জেরে ভিতরের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর তাই বিষাক্ত গ্যাস লিক করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর বিশাখাপত্তনামের সহকারী পুলিশ কমিশনার স্বরূপ রানি জানান, “লকডাউন চলায় সেখানে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস মজুত ছিল। ফলে একটি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হয় এবং ট্যাঙ্কগুলির ভিতরে প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই গ্যাস লিক হয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়”। যদিও বিশাখাপত্তনমের ওই প্ল্যান্টের মালিক এলজি চেম জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে ওই প্ল্যান্টটি বন্ধই ছিল না, কিন্তু তার ভিতরে প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে কিছু কর্মী ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.