সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে জলের জন্য হাহাকার। বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনের থেকেও কম জলে কাজ মেটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তামিলনাডুর রাজধানী চেন্নাইয়ে এক বালতি জলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন মানুষ। মধ্যপ্রদেশে প্রতিদিন মাথাপিছু ৫৫ লিটার করে জল দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ওই রাজ্যের বুন্দেলখণ্ড যখন ক্রমশ এগোচ্ছে খরা পরিস্থিতির দিকে। জল সংরক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন পঞ্চায়েত প্রধানদের। ঠিক তখনই জল সমস্যা সমাধানে দিশা দেখাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার জাখনি গ্রামের বাসিন্দারা।
আট বছর আগেও পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম। দেশের অন্য খরাপ্রবণ এলাকার মতোই প্রচণ্ড জলকষ্টে ভুগতেন বান্দা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাখনি গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু, তারপর একদিন এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করেন তাঁরা। জল সংরক্ষণের প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেদের গ্রামকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে সেই প্রচেষ্টার ফলে ৩২টি টিউবওয়েল, ২৫টি হ্যান্ড পাম্প ও চারটি পুকুর রয়েছে ওই গ্রামে। আর জেলা তথা গোটা রাজ্যে পরিচিত হয়েছে ‘জলগ্রাম’ নামে।
এপ্রসঙ্গে ওই গ্রামের এক কৃষক শান্তি বলেন, “আট থেকে দশ বছর আগে প্রচণ্ড জলকষ্টে ভুগছিলাম আমরা। তারপরই গ্রামের নোংরা জলকে পুকুরে ফেলে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হয়। এর ফলে মাটির নিচে থাকা জলস্তরও বৃদ্ধি পায়। যার ফলে চাষাবাদের কাজ আরও সহজ হয়েছে। সমাধান হয় জলের সমস্যারও। পরে কোনও সরকারি সাহায্য ছাড়াই গ্রামে টিউবওয়েল ও হ্যান্ড পাম্প বসানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই ভাল হয়েছে যে একসময়ে গ্রাম ছেড়ে যাওয়া লোকেরা ফের এখানে ফিরে আসছেন।”
জল সংরক্ষণের কাজে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য সর্বোদয় আদর্শ জল গ্রাম অভিযান সমিতি নামে একটি কমিটিও গড়েছেন জাখনি গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে বৃষ্টির জল ধরে রেখে পরিশোধনের ব্যবস্থা করতে মনোনিবেশ করছে ওই কমিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.