সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজ হয়নি মোদি-শাহর হেভিওয়েট প্রচারে। কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কংগ্রেস (Congress)। যদিও জয়যাত্রার মধ্যে গলার কাঁটা হলেন দলবদলু হেভিওয়েট কংগ্রেস প্রার্থী। যাঁর জয়ে স্থির বিশ্বাস ছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge)। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি (BJP) প্রার্থীর কাছে ৩০ হাজার ভোটে হার হল তাঁর। একইসঙ্গে জনতার রায়ে হারের মুখ দেখলেন কর্ণাটকে হিজাব নিষেধাজ্ঞার মুখ বিজেপি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ।
কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তরকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল ভোটের আগেই। দীর্ঘদিনের গেরুয়া রাজনীতিবিদ তিনি। এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি। এরপর দলবদলে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। যা সে রাজ্যের নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীদের মোটেই পছন্দ ছিল না। যদিও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থী করায় আত্মবিশ্বাসী ছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। বাস্তবে উলটো ঘটনা ঘটল।
চলতি বিধানসভা ভোটে হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন জগদীশ। বিপক্ষে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন মহেশ টেঙ্গিনকাই। তাঁর কাছে ৩০ হাজার ভোটে হেরেছেন হেভিওয়েট লিঙ্গায়েত নেতা। ছয়বারের বিধায়ক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লিঙ্গায়েত নেতার শোচনীয় হারে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। যেমন, মাস খানেক আগে দলে যোগ দেওয়া বিজেপি নেতাকে প্রার্থী করা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল?
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে প্রবীণ বিজেপি নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়াদুরাপ্পা ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, “দল ছেড়ে জগদীশ ভুল করছেন।” কার্যক্ষেত্রে তাই দেখা গেল। দু’কূল হারালেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বিধানসভা ভোটের আগভাগে দলে বদলে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন জিতেছেন। বিজেপির দলবদলু ৫ নেতার মধ্যে একজন জিতেছেন। অন্যদিকে জেডিএসে ১২ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন জিতেছেন।
উল্লেখ্য, জনতার রায়ে কর্ণাটকে হিজাব নিষেধাজ্ঞার মুখ বিসি নাগেশকেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে। প্রবীণ গেরুয়া নেতা বিজেপি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যের তিপতুর বিধানসভা আসনে প্রার্থী ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের কে শদাক্ষরীর কাছে ১৭, ৬৬২ ভোটে হার হয়েছে তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.